
| বুধবার, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ | প্রিন্ট
বাংলাদেশ বেতার-বিটিভিসহ তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সংস্থায় যন্ত্রপাতি কেনার রি-টেন্ডারে (দ্বিতীয় দফা দরপত্র আহ্বান) স্পেসিফিকেশন (শর্ত) পরিবর্তন করার অভিযোগ কানে আসছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
বুধবার সচিবালয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। সভায় বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও দফতর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় বেতার ভবনে আধুনিক ও ডিজিটাল সম্প্রচার যন্ত্রপাতি স্থাপন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা সভায় জানান, প্রথমবার টেন্ডার আহ্বান করা হলে কেউ রেসপন্সিব হয়নি। কারণ সবাই প্রাক্কলিক মূল্যের চেয়ে বেশি দাম দিয়েছে। একটি যন্ত্রের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না থাকায় তা স্পষ্ট করে দ্বিতীয়বার টেন্ডার আহ্বান করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি কেনার ব্যাপারে প্রায়ই একটা সমস্যা দেখছি আমি। যখন ডকুমেন্ট তৈরি হচ্ছে, স্পেসিফিকেশন তৈরি হচ্ছে তা আবার পরিবর্তন হচ্ছে। এই জিনিসটা প্রায়ই হচ্ছে। এটা তো অস্বাভাবিক ব্যাপার। এমন স্পেসিফিকেশন ঠিক করছেন তা কেউ সরবরাহই করতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘এখন বাধ্য হয়ে কমিটি বানিয়ে সেই স্পেসিফিকেশন পরিবর্তন করা। একটা টেন্ডার হল, টেন্ডার হয়ে যাওয়ার পর রি-টেন্ডার দিলেন। তখন স্পেসিফিকেশন (শর্ত) আবার চেঞ্জ (পরিবর্তন) করে দিচ্ছেন। এগুলো তো আনইথিক্যাল (অনৈতিক) ব্যাপার।’
বেতারের প্রধান প্রকৌশলীর উদ্দেশ্যে জাসদ একাংশের সভাপতি ইনু বলেন, ‘এমন কথা কিছু কানে আসছে। স্পেসিফিকেশন চেঞ্জ করেন কেন? বেতারের আরও ঘটনা আছে। প্রায়ই কমপ্লেইন করেন, কানে চলে আসে।’
‘আগের টেন্ডারে যে স্পেসিফিকেশন, রি-টেন্ডারে স্পেসিফিকেশন চেঞ্জ করলেন কেন? এরকম রিপোর্ট আসে। হয়তো মিথ্যা, কিন্তু যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে আমি আপনাদের ধরব। আপনি আগের স্পেসিফিকেশন চেঞ্জ করলেন কেন? তাহলে কোন পার্টিকুলার কোম্পানিকে দেয়ার জন্য করলেন। বা কোন ঘটনা ঘটল।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু বেতার নয়, বেতার, বিটিভির যারা আছে, যারা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি কেনাকাটা করেন-এই ব্যাপারটা একটু নজর দেবেন। এমন কথা কানে এসেছে।’
তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘আমরা ছোট ছোট করে বসেছিলাম। গতকালও বসেছিলাম। একটা জিনিস মনে হয়েছে এডিপিতে আমাদের বাস্তবায়নের হারটা কমই মনে হয়েছে। এজন্য ধীরগতিতে কাজ করার সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি স্পেসিফিক আইটেম লিখি, সেই সঙ্গে আমরা স্পেসিফিক একসেসরিজও দিতে পারি। রিলেটেড টু মেইল ইকুয়েপমেন্ট। এমন ভেইক কেন প্রথমেই তৈরি হল। প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীর গতি হলে এডিপিতে এর রিফ্লেকশন হবেই।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যে প্রকল্পগুলোতে গতি ধীর, প্রকল্প পরিচালকের পারফরমেন্স ঠিক না হয়, আমার মনে হয় এখানে কঠোর অ্যাকশনে যাওয়া উচিত। তাহলে উই সুড চেইঞ্জ। ধীর গতি মেনে নেয়ার কারণ দেখি না। এডিপি বাস্তবায়ন হার নট আপ টু দি মার্ক।’
সভায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নাসির আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
Posted ০৯:৫১ | বুধবার, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain