| বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
বিএনপির সাবেক নেতা চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে গাইবান্ধার একটি আদালত। ফেসবুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ব্যঙ্গ চিত্র পোস্ট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে মামলায় এই পরোয়ানা জারি করা হয়।
বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা সদর থানা আমলী আদালত এই পরোয়ানা জারি করেন। গাইবান্ধা যুবলীগ সভাপতি সরদার মো. শাহীদ হাসান লোটন ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর এই মামলাটি করেন।
সাড়ে ছয় বছর আগে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ইরাদ নিজেকে ঢাকায় ছায়া মেয়র হিসেবে পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করেন। তবে তিনি এখন কোথায় অবস্থান করছেন সে বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই।
ইরাদ সিদ্দিকী গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে ফেসবুকে লিখেন, ‘শেখ হাসিনাকে হত্যা ছাড়া বাংলাদেশের ক্ষমতার ভারসাম্য ও গণতন্ত্র ফেরানো সম্ভব নয়।’ এছাড়াও ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়েও ব্যাঙ্গচিত্র বানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন। এর পাশাপাশি তার নিজের অফিসিয়াল ফেসবুকের পেজে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র উল্লে¬খ করেও তা ছবি আকারে পোস্ট করেন।
এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইরাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয়। এর একটি হয় গাইবান্ধায়। এই মামলার পর আদালত ইরাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে প্রথমে সমন জারি করে। কিন্তু তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় এই পরোয়ানা জারি করা হয়।
ইরাদ সিদ্দিকীর বাবা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। তাদের বাড়ি গাজীপুরের কালিয়াকৈরে। ইরাদ সিদ্দিকী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ তোলার পর ২০০৯ সালের ১৭ মার্চ তাকে ও তানভীর সিদ্দিকীকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
এই সিদ্ধান্তের এক সপ্তাহ আগে রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলন করে ইরাদ নিজেকে ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি জানান, মেয়র পদে সমর্থনের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার কাছে পাঁচ কোটি টাকা চেয়েছিলেন।
বিএনপি থেকে বহিষ্কারের পর বাবা-ছেলে রাজনীতিতে আর গুরুত্ব পাননি। তবে ইরাদ ফেইসবুকে নিজের নামে একটি পেইজ চালান।
Posted ১০:৫২ | বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain