
নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট
অনলাইন ডেস্ক : তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবির বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যৌক্তিকতা পাচ্ছে না বলে আবারও জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের।
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে আজ সোমবার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
তিতুমীর কলেজ নিয়ে ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘সাতটা কলেজ নিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে ইউজিসির চেয়ারম্যান মহোদয়ের নেতৃত্বে। সেই কমিটি কাজ করছে। সেই কমিটি যখন কাজ করছে, এর মধ্যে তিতুমীর বললো যে তারা আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় চায়। আলাদাভাবে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার যে দাবি, এর স্বপক্ষে যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে হবে। কারণ তিতুমীরের মতো আরও অনেকগুলো কলেজ রয়েছে। ঢাকা শহরে আছে, ঢাকার বাইরে আছে।
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের উপদেষ্টা মহোদয় একটি বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি সেখানে বলেছেন যে, এ দাবি যৌক্তিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয় না। যেহেতু আরও অনেকগুলো এ রকম কলেজ রয়েছে।
‘তিতুমীরের যে ছাত্ররা আন্দোলনে আছে তাদের প্রতি আমরা সহানুভূতিশীল। কিন্তু সাধারণ ছাত্ররা চাচ্ছে যে তাদের পড়াশোনা যাতে নির্বিঘ্ন থাকে। তাদের পড়াশোনা যাতে এই ধরনের আন্দোলনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সুতরাং সরকার সেটাতেও লক্ষ্য রাখছে।
ইতোমধ্যে ইউজিসি থেকে একটি প্রস্তাব এসেছে জানিয়ে সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন অর্থাৎ যে সময় পর্যন্ত একটি বিশ্ববিদ্যালয় না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত এই বিষয়টিকে কীভাবে মোকাবিলা করা যায়। সেই কারণে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও কথা বলেছি। তারা নীতিগতভাবে এটুকু একমত আছে যে, আমরা এ সাত কলেজের দায়িত্ব নিতে চাই না। তবে এ বছর যারা নতুন ভর্তি হবে, তাদের ভবিষ্যৎ যাতে নষ্ট না হয় এবং যারা পরীক্ষা দেবে, তাদের ভবিষ্যৎ যাতে নষ্ট না হয়, এজন্য সরকার যেভাবে বলবে তারা সেভাবে করবে।
তিনি বলেন, ‘তিতুমীর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি ছাড়াও আরও দুটি দাবি জানিয়েছে। সেটা হচ্ছে, তাদের সেখানে আরও পিএইচডি অধ্যাপক দিতে হবে। এতে আমরা একমত হয়েছি। সেখানে ১৭ জন পিএইচডি হোল্ডার আছেন, আমরা আরও দেবো। দ্বিতীয় তারা আরেকটি দাবি জানিয়েছে যে, গবেষণার জন্য বরাদ্দ বাড়াতে হবে। সেটা তো আমরা রাজি হয়েছি যে বরাদ্দ আরও বাড়াবো।
সিনিয়র সচিব আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দাবির বিষয়ে আমরা বলেছি, ইউজিসির কমিটি যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবে সেটার ওপরেই আমরা পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবো।
তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় হবে কি হবে না সেই বিষয়ে আপনারা পরিষ্কার করে কিছু বলছেন না কেন- এ বিষয়ে সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন, এর অতিরিক্ত আমার কোনে বক্তব্য নেই। এখন পর্যন্ত তিতুমীরের এই দাবির যৌক্তিকতা দেখা যাচ্ছে না। যেহেতু আমরা একটি কমিটি করেছি। সেই কমিটিকে তিতুমীরের বিষয়টিও গুরুত্বে সঙ্গে দেখার জন্য বলা হয়েছে। যেখানে কমিটি করা হয়েছে, সেই কমিটির রিপোর্ট দেওয়ার আগে আমরা মন্ত্রণালয় থেকে আরেকটা কথা বলে ফেলা ঠিক হবে না।
Posted ১৫:২৪ | সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain