সোমবার ২৭শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে দরকার দ্রুত নির্বাচন

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট

ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে দরকার দ্রুত নির্বাচন

অদিতি করিম :নির্বাচন নিয়ে দেশে এক অপ্রয়োজনীয় তর্ক সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন দ্রুত হোক কেউ কেউ চায় না। নির্বাচন নিয়ে কারও কারও মধ্যে গায়ে পড়ে ঝগড়া করার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে। দেশে এখন একটি অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলো পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সৃষ্ট জঞ্জাল মোটামুটি পরিষ্কার করে একটি নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। এটাই জনগণের প্রত্যাশা। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের সাড়ে পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত নির্বাচনের কোনো সুনির্দিষ্ট রূপরেখা পাওয়া যায়নি। যদিও প্রধান উপদেষ্টা আশ্বস্ত করেছেন, চলতি বছরের শেষ দিকে অথবা আগামী বছরের প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে নানা রকম অনিশ্চয়তা এবং বিভিন্নমুখী কথাবার্তা রাজনৈতিক অঙ্গনকে ক্রমশ ঘোলাটে করছে। এই ঘোলাটে পরিবেশে পতিত স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে বলেই অনেকের আশঙ্কা।

 

সংস্কার আগে নাকি নির্বাচন আগে? শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতিবাজ, গণহত্যাকারীদের বিচার আগে না নির্বাচন আগে এ ধরনের প্রশ্নে রাজনৈতিক অঙ্গন এখন বিভক্ত। আমার মনে হয় এই প্রশ্নগুলো অবান্তর প্রশ্ন। যারা এসব বিতর্ক উসকে দিচ্ছে তাদের অন্য মতলব আছে।

প্রথমেই বলে রাখা দরকার, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার কোনো সোনার পাথরবাটি বা বটিকা নয়, এটি সেবন করলেই সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে সংস্কারের প্রয়োজন হয়। আজকে যেটি সঠিক, কালকে সেটি হয়তো পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে। এভাবেই বিশ্ব প্রকৃতি চলে। সংস্কারের কোনো নির্দিষ্ট ফর্মুলা নেই। তাই সংস্কারের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো বৈরিতা আছে বলে অন্তত আমি মনে করি না। আবার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নির্বাচন সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে সেই নির্বাচনগুলো শুধু প্রশ্নবিদ্ধই নয়, হাস্যকর এবং দুর্ভাগ্যজনক বটে। বিশেষ করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিনা ভোটে নির্বাচন কিংবা ২০১৮-এর রাতের ভোট বাংলাদেশের পুরো নির্বাচনব্যবস্থাকেই কলঙ্কিত করেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন আইনের বিভিন্ন সংশোধন করেছিল। নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করা হয়েছিল। এমনকি নির্বাচনে জবাবদিহির পথও রুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এ কারণে নির্বাচন সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। তা ছাড়া বিগত সরকারের আমলে ভোটার তালিকায় বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনেককেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তারা নানাভাবে পালিয়ে ছিলেন। কেউ কেউ জেল, জেলজুলুম-অত্যাচার সহ্য করেছেন। অনেকে দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। কাজেই জনগণের একটি অংশ এত দিনের নির্বাচনে ভোটার তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত পর্যন্ত হতে পারেননি। তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করাটা অত্যন্ত জরুরি কাজ। ভোটার নিবন্ধন, নির্বাচনের আইন সংস্কার, নির্বাচনে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ার জবাবদিহি নিশ্চিত করা ইত্যাদি সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। এই সংস্কার কাজগুলো শেষ করেই দেশকে নির্বাচনমুখী করা উচিত।

ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে দরকার দ্রুত নির্বাচনদ্বিতীয় প্রশ্ন হলো, জুলাই গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া আগে শেষ হবে নাকি নির্বাচন আগে হবে? এটিও একটি অন্যটির সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। বিচার এবং নির্বাচন দুটি ভিন্ন প্রসঙ্গ। বিচারের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো বিরোধ নেই। বাংলাদেশের যে বিচারব্যবস্থা তা ঐতিহাসিকভাবে দীর্ঘসূত্রতায় আবদ্ধ এবং ঔপনিবেশিক আমলের আইনের বাধা। যে কারণে এই বিচারপ্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ। তা ছাড়া আইনের শাসনের প্রধান শর্তই হলো অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হতে হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ গণহত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিচার হচ্ছে। এই বিচারপ্রক্রিয়ায় যেমন স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা জরুরি, তেমনি এই বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত হওয়াটা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু দ্রুত বিচার করতে গিয়ে যেন আইনের শাসন এবং বিচারপ্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেটিও লক্ষ রাখতে হবে। এখানে অযাচিত, তাড়াহুড়া করার কোনো সুযোগ নেই। আর এ কারণেই বিচারের জন্য যদি নির্বাচন উপেক্ষা করে তাহলে সেটি হবে এক ধরনের কালক্ষেপণ এবং জনগণের অধিকার হরণের নামান্তর। যে রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিবাদবিরোধী গণ আন্দোলনে সক্রিয় তারা সবাই একটি বিষয়ে একমত তা হলো ২০২৪-এর জুলাই-আগস্টে গণহত্যার বিচার হতেই হবে। বাংলাদেশে যেন আর কখনোই ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচারের উত্থান না ঘটে সেটি নিশ্চিত করতে চায় সবাই। তাই যদি হবে তাহলে যে রাজনৈতিক দলই আসুক না কেন, তারা বিচারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাবে নিজস্ব গতিতে। আর সে কারণে বিচারের জন্য কখনোই নির্বাচন থেমে থাকা উচিত নয়।

 

অন্য যে সংস্কারগুলোর কথা বলা হয়েছে, সে সংস্কারগুলো কোনোভাবেই অন্তর্বর্তী সরকারের এখতিয়ারভুক্ত নয়। তাদের এটা করাও উচিত না। যেমন সংবিধান সংস্কার। সংবিধান সংস্কারের একমাত্র প্ল্যাটফরম হলো ‘জাতীয় সংসদ’ অর্থাৎ যারা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। জাতীয় সংসদ ছাড়া সংবিধান সংস্কারের কোনো এখতিয়ার আর কারও থাকতে পারে না। সংবিধান সংস্কার কমিশন একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এই রিপোর্টের ভালোমন্দ ইত্যাদি বিচারবিবেচনা করবে জনগণ। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সংসদে আলোচনা হবে। জনগণের মতামতের ভিত্তিতে কতটুকু গ্রহণ করা হবে, কতটুকু বর্জন করা হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু জনগণকে অন্ধকারে রেখে একটি অনির্বাচিত সরকারের সংবিধান সংস্কার করাটা উচিত হবে না। এটি একটি খারাপ দৃষ্টান্ত হবে।

 

সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দেখলাম, পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পোশাক পরিবর্তন করা হয়েছে। এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। এই কাজগুলো অপ্রয়োজনীয়। একটি অনির্বাচিত সরকার গণ অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে যারা দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে তাদের এসব কাজ করার দরকার কী? দেশকে পলিথিনমুক্ত করার দায়িত্ব এই সরকারের নয়। দেশে হাজারটা সমস্যা, যে সমস্যাগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সমাধান সম্ভব নয়। সাধারণ মানুষের জীবন গত সাড়ে পাঁচ মাসে এমনিতেই দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে। যেখানে সেখানে ছিনতাই হচ্ছে, রাহাজানি হচ্ছে। অর্থনীতির অবস্থা এখন শোচনীয়। ব্যবসায়ীরা রীতিমতো হাহাকার করছেন। বহু বড় বড় শিল্পোদ্যোক্তা এখন ব্যবসা বন্ধ করে মানসম্মান নিয়ে বাঁচতে চাইছেন। এ রকম পরিস্থিতি যদি চলতে থাকে তাহলে অর্থনীতি ধ্বংস হতে বেশি সময় লাগবে না। আর তাই আমাদের অর্থনীতির দিকে নজর রাখা উচিত। ঢালাওভাবে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যবসায়ীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হচ্ছে। ব্যাংকঋণে সুদের হার বেড়েছে। ডলার সংকট তীব্র। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কথা শোনা যাচ্ছে। অর্থাৎ বিনিয়োগের সব দরজা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতি যদি চলতে থাকে তাহলে বাংলাদেশের সামনে এক কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। আর এ জন্যই অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দ্রুত নির্বাচন দেওয়া। কারণ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য জনগণের সম্মিলিত অংশগ্রহণ দরকার। সে জন্য দরকার একটি রাজনৈতিক সরকার। ব্যবসায়ীরা উন্নয়নের সহায়ক। কিন্তু এই অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু জনবিচ্ছিন্ন ব্যক্তি ব্যবসায়ীদের যেন অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চাইছেন। এটি একটি ভয়ংকর প্রবণতা। এই প্রবণতা বন্ধ হওয়া দরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের সাড়ে পাঁচ মাসের শাসনে কোথাও কোনো শৃঙ্খলা নেই। এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিজেই স্বীকার করছেন, এই কাজে তিনি অভিজ্ঞ নন। তিনি এসেছেন, দায়িত্ব নিয়েছেন এবং চেষ্টা করছেন। ভুলত্রুটি হচ্ছে, তাঁরা ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না। নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টার স্বীকারোক্তি বলে দেয়, যার কাজ তাকেই করতে হবে। রাজনীতিবিদদেরই দেশ পরিচালনার চালকের আসনে বসতে হবে, সঠিক গন্তব্যের জন্য।

 

এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই, দীর্ঘ ১৫ বছরের অপশাসনের ফলে দেশ একটি গভীর সংকটে। দেশের অর্থ পাচার, লুণ্ঠনের কারণে অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। মুষ্টিমেয় কিছু গোষ্ঠীর লুটপাটের কারণে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি হয়েছিল সংকটময়। তা ছাড়া দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গুম, খুন, হত্যাসহ নানা রকম অপকর্ম সংঘটিত হয়েছিল। এসব কিছুর প্রেক্ষাপটে ৫ আগস্ট বিপ্লবে দেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু গত পাঁচ মাসে এই সরকার বিপ্লবী চেতনাকে ধারণ করে একটি নতুন বাংলাদেশ পরিকল্পনায় এগোতে পারেনি। বরং মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তির ক্ষমতালিপ্সা এবং নানা রকম বিভ্রান্তিকর চিন্তাভাবনা দেশকে নতুন সংকটের মধ্যে দাঁড় করিয়েছে। এ সংকট থেকে উত্তরণের একটি উপায় হলো জনগণের ক্ষমতায়ন। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।

 

প্রশ্ন হলো, নির্বাচন বিলম্বিত হলে কার লাভ? এই নির্বাচন বিলম্বিত হলে কি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বা নাগরিক কমিটির লাভ হবে? আমি তা মনে করি না। ৫ আগস্ট সময় পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে জনপ্রিয়তা ছিল, তাতে এখন ভাটার টান। তাদের মধ্যে এখন নানা রকম অনৈক্যের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাদের দূরত্ব আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা অনেকের। ছাত্রসমাজ বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছে- এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এখন তাদের থামতে হবে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করতে হবে। আমাদের ছাত্রসমাজ হবে জনগণের বিবেকের কণ্ঠস্বর। যেখানে অন্যায় হবে, যেখানে অনিয়ম হবে সেখানে তারা কথা বলবে। তাহলে শিক্ষার্থীদের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, সম্মান, শ্রদ্ধা অটুট থাকবে। কিন্তু তারাই যদি রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষায় আগ্রহী হয়; ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির মধ্যে নিজেদের জড়িয়ে ফেলে, তাহলে জনগণ হতাশ হবে। নির্বাচন যত পেছাবে ততই আগস্ট বিপ্লবের সূর্যসন্তানদের বিতর্কিত করা হবে। তাই নির্বাচন বিলম্বিত হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বা নাগরিক কমিটির কোনো লাভ হবে না। এই নির্বাচন পিছিয়ে গেলে কি সাধারণ মানুষের লাভ হবে? কারণ ভ্যাট বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ইত্যাদি নানা কারণে মানুষের এখন নাভিশ্বাস উঠেছে। রাজনৈতিক চিন্তাচেতনায় অনভিজ্ঞদের দ্বারা এই সংকট সমাধান হবে না। নির্বাচন পেছালে জনগণের চেয়েও ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই সরকার। তাদের নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচন পিছিয়ে গেলে কি লাভ হবে? নির্বাচন যতই পেছাবে ততই বাংলাদেশের পুরনো ফ্যাসিবাদ আবার নতুন করে আত্মপ্রকাশ চেষ্টা করবে। নানা ফাঁকফোকর দিয়ে তারা পুনর্বাসিত হবে। আর সাধারণ মানুষকে তারা বিভ্রান্ত করবে। নতুন করে সংগঠিত হবে। অর্থাৎ আমরা যদি একটু গভীরভাবে বিশ্লেষণ করি, তাহলে দেখব যে নির্বাচন পেছালে ক্ষতি সবার, লাভ শুধু পতিত স্বৈরাচারের। আর সে কারণেই এখন প্রয়োজন দ্রুত নির্বাচন করা। ইতোমধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে জুলাই-আগস্টের মধ্যে নির্বাচন করার জন্য আওয়াজ তোলা হয়েছে। এই দাবিটি যুক্তিযুক্ত বলেই বেশির ভাগ মানুষ মনে করে। দ্রুত একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন যদি না করা যায় তাহলে নানা রকম ষড়যন্ত্র দানা বেঁধে উঠবে। ইতোমধ্যে নতুন করে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। কান পাতলেই নানা রকম কথা শোনা যায়। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির একটাই উপায় তা হলো নির্বাচন। তা না হলে ফ্যাসিবাদ এবং পতিতদের ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন ঠেকাতেই প্রয়োজন দ্রুত নির্বাচন।

লেখক : নাট্যকার ও কলাম লেখক

ইমেইল : auditekarim@gmail.com

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৭:০৫ | রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

অবাধ্য ভাবনা
(744 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১  
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com