নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট
ডেস্ক রিপোর্ট :জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সৎ সাহস থাকলে দেশে আসেন। যদি দেশ, পার্টি ও দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা থাকে একা একা থাকেন না। একা একা থাকা দুঃখের চেয়ে, আমাদের কাছে চলে আসেন কাশিমপুরে ভালো জায়গা করে দেব।
তিনি বলেন, ‘কাশিমপুর কারাগারের ভাত আল্লাহ আমার কপালে জুটায়নি। এক এক করে আমাদের ১১ জন শীর্ষ নেতাকে দুনিয়া থেকে বিদায় করা হয়েছে। কেউ বলতে পারবে না তাদের একজন নেতাকে দুনিয়া থেকে বিদায় করা হয়েছে। জবরদস্তি করে দলের নিবন্ধন কড়ে নেয়া হয়েছিল। বিপ্লবের মুখে আমাদের দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। চাকরি থেকে বিতাড়িত ও নেতাদের দেশ ছাড়া করা হয়। অফিসগুলো সিল করা হয়েছিল, নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘরে হামলা, মামলাসহ নির্যাতন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে এ কর্মী সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। জামায়াত আমির বলেন, ‘ওরা আমাদের জন্য দেশে যে কঙ্কাল রেখে গেছে সেই কঙ্কালে আমরা গোস্ত ও চামড়া পরাতে চাই। স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটিকে মুগুর বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন। উন্নয়নকে লুটেরাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে ২৬ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করলেন। দেশে নয় বিদেশে বেগমপাড়া গড়ে তুললেন। এ ভোটের অধিকারটার জন্য তো লড়াই করে বাংলাদেশে স্বাধীনতা অর্জন হয়েছিল। পাকিস্তানিরা এ ভোটের মূল্য দেয়নি বলেই তো মানুষ জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছিল, এটাই তো আপনারা শেষ করে দিলেন। আমাদের দেশ ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে বলবো আপনাদের মেয়াদ যেহেতু দীর্ঘ নয়, সব আপনারা পারবেন না। আগামী একনেকে ইনসাফের কারণে কমপক্ষে এখানে একটি প্রতিষ্ঠান দেন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি মেডিকেল কলেজ দেন। ভোট নেওয়ার সময় বাবা ডাকে, ভোট নেওয়ার পর শালা ডাকতেও লজ্জা করে।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক মো. মোবারক হোসাইন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা আমির মাও. তাজ উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা আমির মাও. অধ্যাপক আবুল হাসেম, ঝিনাইদহ জেলা আমির আবু বকর মুহা. আলী আজম ও যশোর জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়তে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাসুদ পারভেজ রাসেল, জেলা নায়েবী আমির আজিজুর রহমান। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আসলাম অর্ক, চুয়াডাঙ্গা জামায়াত ইসলামীসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন জেলা জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান আসাদ। কর্মী সম্মেলনের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত ও পরে দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
Posted ১৪:৩৯ | শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain