নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট
অনলাইন ডেস্ক :সিরিয়ার উত্তাল পরিস্থিতিতে দেশটির তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি আরও এক সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হয়েছে। তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহীদের জোট সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এসএনএ) এবং যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) আগামী সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত উত্তর সিরিয়ার মানজিব শহরে সংঘর্ষ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তুরস্ক ও এসডিএফের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য যতদিন সম্ভব যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখা।’
তিনি আরও বলেন, সিরিয়ার অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে কোনো পক্ষ যেন নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থে ব্যবহার না করে, তা নিশ্চিত করাই আমাদের উদ্দেশ্য। সিরিয়ার বৃহত্তর স্বার্থকে ক্ষুণ্ন হতে দেওয়া যাবে না।
সিরিয়ার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় গত ৮ ডিসেম্বর দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে পদত্যাগ করে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন। ১২ দিনের বিদ্রোহী অভিযানের পর তার পতন ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল করতে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করে এসএনএ ও এসডিএফের মধ্যে প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সহায়তা করে আসছে। এর মধ্যে সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) অন্যতম। যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় এসডিএফ সিরিয়ায় আইএস বিরোধী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এসডিএফের মধ্যে কুর্দি গোষ্ঠী ওয়াইপিজি সবচেয়ে প্রভাবশালী। তবে তুরস্ক ওয়াইপিজিকে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)-এর শাখা হিসেবে দেখে, যা গত ৪০ বছর ধরে তুরস্কে বিদ্রোহ করে আসছে। পিকেকেকে তুরস্ক এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
এদিকে, ন্যাটো জোটের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও সিরিয়ার দীর্ঘ ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এবং তুরস্ক একে অপরের বিপরীতমুখী বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। এই বিরোধের মধ্যেই দুই পক্ষের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সাময়িক শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে।
Posted ০৩:৪৯ | বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain