আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন না হয় আইন করেছে। হত্যাকারীদের চাকরি দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার জন্য সুযোগ দিয়েছে, বিরোধীদলের নেতা বানিয়েছে। আর জামায়াত আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। আমাদের মা বোনদের ইজ্জত নিয়েছে। এখন তাদের সঙ্গে রাজনীতি করতে হলে শক্ত হাতে করতে হবে।
আজ দুপুরে কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে কারো সঙ্গে আপোষ না করে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার এবং স্বাধিকার আদায়ের জন্যে সংগ্রাম করেছে। আপোষহীন নেতাকে বিএনপি জামায়াত হত্যা করেছে। দীর্ঘ ১৫ বছর বিএনপি জামায়াত দেশ চালিয়েছে। একবারও বিচার করেনি, বরং আইন করে বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করেছে। তারা চেষ্টা করেছে যেন বাংলাদেশ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়। তারা চেষ্টা করেছে বাংলাদেশের গ্যাস বিক্রি করে দেওয়ার জন্য। তারা চেষ্টা করেছে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য। আমারা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভুলে যায়নি। এই ষড়যন্ত্র তারা করবেই। তারা নির্বাচন করতে চায় না। তারা চায় পেছনের দরজা দিয়ে যদি কেউ তাদেরকে ক্ষমতায় ঢুকিয়ে দিয়ে যায়।
আইনমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না। বাংলাদেশের সব্বোর্চ আদালত রায় দিয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবৈধ। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে আইন পাশ করে সংবিধান থেকে সেটা বের করে দিয়েছে। আর সেখানে ফিরে যাওয়া যাবে না।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখন বড়বড় শত্রুদের মোকাবিলা করতে হবে। তাদের মোকাবিলা করতে হলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে জামায়াত-বিএনপির ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবেন।
খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আব্দুল্লাহ ভূঞার সভাপতিত্বে বিশেষ বর্ধিত সভায় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া জীবন, পৌরসভার মেয়র এম জে হাক্কানী, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন, ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রিমন ছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
