নির্বাচনকালীন সরকারের আকার কী হবে সেটি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ (৩ জুলাই) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘বাংলাদেশ এট এ গ্ল্যান্স’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচনকালীন সরকার কখন গঠন হতে পারে— সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। নির্বাচনকালীন সরকারের আকার কী হবে সেটি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার, তিনিই এটি ঠিক করবেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির প্রতিনিধি রাখা হতে পারে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি তো সংসদে নেই, যদি সংসদে থাকত হয়ত সেক্ষেত্রে সুযোগ থাকত। যদিও এটি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তারা তো সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছে এবং সংবিধান অনুযায়ী সেটি সম্ভব নয়।
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময়ে বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন আরেকটি সরকার গঠন করার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই, বাধ্যবাধকতা নেই। তবে নির্বাচনকালীন সময়ে এটি কী ছোট আকারে সরকার হবে নাকি বর্তমানে যারা মন্ত্রিসভায় আছেন তাদের সবাই থাকবেন, নাকি আমাদের শরিকদের মধ্যে থেকে কাউকে নেওয়া হবে… সেগুলো প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তিনিই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সংলাপের প্রশ্নই আসে না। আমরা মনে করি বিএনপি দেশে একটি গন্ডগোল পাকাতে চায়, দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করাই তাদের দাবি ও আন্দোলনের উদ্দেশ্য। এ নিয়ে সংলাপ করার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই ও সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না।
বিএনপি অভিযোগ করছে সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিরোধীদের ওপর লেলিয়ে দিচ্ছে, ফলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভালো কাজ করছে বিধায় আমাদের দেশে জঙ্গি দমন করতে পেরেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভালো কাজ করছে বিধায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে।
মন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিধায় তারা অগ্নিসন্ত্রাস করতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করছে। তারা শুধু সন্ত্রাসী ও অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে না।
