নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৭ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ছিঁচকে চোর, মলম পার্টি কিংবা অজ্ঞান পার্টির মতো ৬০০ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ঈদের সময় ফাঁকা ঢাকা নিরাপদ রাখতে এসব অপরাধী যেন জামিন না পায় সে ব্যাপারে চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
আজ (২৭ জুন) মহাখালী বাস টার্মিনাল ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা পরিদর্শন শেষে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা চিচকে চোর, মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টিসহ এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করছি। ৬০০ জন পেশাদার অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব ঈদের আগে যেন তাদের জামিন না হয়।
ঈদের সময় ঢাকায় পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা রাখার কথা জানান গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, গত ঈদে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এবারও আমরা পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে পারব। আমাদের টহল পুলিশ থাকবে সার্বক্ষণিক, সিসি ক্যামেরা থাকবে, ডিবি পুলিশ ঢাকার আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াবে।
তারপরও ঢাকা ছেড়ে যাওয়া পরিবারগুলোর উদ্দেশ্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা থাকবে। তবুও যারা বাড়ি যাচ্ছেন, আপনাদের মালমাল বিশেষ করে, স্বর্ণ বা নগদ টাকা কারও কাছে নিরাপদে গচ্ছিত রেখে যাবেন।
এবারের ঈদ যাত্রায় সড়কের পরিস্থিতি তুলে ধরেন গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, রাস্তার পরিস্থিতি ভালো। এখন যে অবস্থা দেখলাম চাপ নেই। শর্ট রুটে দু’একটা গাড়ি বেশি ভাড়া নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা বিআরটিএ’র ম্যাজিস্টেট দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। দূরপাল্লার গাড়িতে চার্ট অনুযায়ী ভাড়া নিচ্ছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, যাত্রীরা যদি অভিযোগ করেন আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব। কেউ হয়রানির শিকার হলে আমরা জানতে পারলে ব্যবস্থা নেব। অনেক সময় অনেক অভিযোগ না জানালে অগোচরে থেকে যায়। যাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলব, বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাত্রা করবেন না।
গাড়িতে অপরিচিত লোকদের দেওয়া খাবার বা পানীয় গ্রহণ না করার বিষয়েও যাত্রীদের সতর্ক করেন কমিশনার।
ফাঁকা ঢাকায় তরুণদের মোটরসাইকেল বা কার রেসিং না করার বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, ফাঁকা ঢাকায় উঠতি বয়সের অনেক তরুণ মোটরসাইকেল বা প্রাইভেট কারের রেস করে। আমি কঠোরভাবে বলে দিচ্ছি, এ ধরনের রেইস করবেন না। ফাঁকা রাস্তায় যেন রেইস না করে সেজন্য ব্যারিকেট দেওয়া হবে, যেন রেইস করতে না পারে। তারপরও সবাইকে সতর্ক করছি।
রাজধানীর কোররবানির হাটগুলোতে পুলিশের কার্যক্রম তুলে ধরেন গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, পশুর হাটগুলোতে নিরাপত্তাজনিত বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাটের কারণে যেন যানজট না হয়, সে দিকে সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে। প্রতিটি গরুর হাটে জাল টাকার মেশিন, ব্যাংক এবং হাসিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাট থেকে যেন ব্যাপারীরা নগদ টাকা নিয়ে যেতে না নয়, সে ব্যবস্থা রয়েছে। গরুর হাটকেন্দ্রিক এখন পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
তিনি বলেন, কোরবানির ঈদ আসলে জাল টাকার ছড়াছড়ি হয়। এ ব্যাপারেও আমরা সতর্ক। হাটে মেশিন বসানো হয়েছে। ডিবি পুলিশ এ ব্যাপারে সতেষ্ট।
বাস মালিক শ্রমিকদের উদ্দেশ্য করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রতিবার দেখা যায়, ঈদের পরে দুর্ঘটনা ঘটে। চালক থাকে কম। হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানো হয়। দুই চারটা টিপ মারে তারা। ঈদের পরে ফাঁকা ঢাকায় হেলপার যেন গাড়ি নিয়ে বের না হন। যদি সবার সহযোগিতা থাকে তবেই সড়কে দুর্ঘটনা জিরোতে চলে আসবে। তবেই সড়ক, মহাসড়ক নিয়ে মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরি হবে। সূএ : ঢাকা পোস্ট ডটকম
Posted ০৯:০০ | মঙ্গলবার, ২৭ জুন ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain