নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
সারাদেশে তীব্র তাপদাহ আর সেই সাথে যোগ হয়েছে লোডশোডিং সমস্যা। সব মিলিয়ে অসস্তিতে দিন কাটাচ্ছে রাজধানীসহ সারাদেশের মানুষ। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়ও করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম খিলজি টাইমস বলেছে, বাংলাদেশের বর্তমানে যে তাপপ্রবাহ রয়েছে সেটা গত ৫০ বছরের মধ্যে রেকর্ড।
বুধবার (৭ জুন) ঢাকার আকাশ ছিল মেঘলা। আর এই কারণে গরমের মাত্রাটাও ছিল বেশি। সারা দিন ও রাতে হাঁসফাঁস গরমে চরম ভোগান্তিতে ছিল রাজধানীর মানুষ। এরপর আসে স্বস্তির খবর। অবশেষে বৃষ্টিতে স্বস্তি মিলেছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের।
ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও মতিঝিল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক, কাকরাইল, নয়াপল্টন, বিজয়নগর, বেইলি রোড, ফকিরাপুলসহ আরও কিছু এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি হচ্ছে হাতিরঝিল, কারওয়ান বাজার, পান্থপথ এলাকায়ও। গত কদিন বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেল মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল ৯টা নাগাদ হঠাৎ শুরু হয় বৃষ্টি। এ যেন নেমে এলো একরাশ স্বস্তি। রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষ করে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশালের কিছু এলাকায় বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, সমুদ্র ও নদীবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে এ জন্য দেশের চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত এবং নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই কারণে দেশের বিভিন্ন বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
Posted ০৭:৫৬ | বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain