নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
রোববার (৪ জুন) দুপুরে বনানীর জাপা কার্যালয়ে এসব কথা বলেন জিএম কাদের।
তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে আওয়ামী লীগের এক শিক্ষিত ও মার্জিত নেতা যেভাবে প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন, তাতে মনে হচ্ছে বিচার বিভাগও আওয়ামী লীগ প্লাসের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চলছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, তারা এতটাই শক্তিশালী যে, আওয়ামী লীগ প্লাসের নির্দেশনা মেনে চলা সবার জন্য বাধ্যতামূলক। কেউ না মানলে তাকে শাস্তি পেতে হবে।
‘নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনও আওয়ামী লীগ প্লাসের সদস্য হয়েছে। এতে দেশের মানুষের জন্য স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা কারোই নেই।
জিএম কাদের আরও বলেন, এমন বাস্তবতায় মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, মেধার ভিত্তিতে চাকরি পাওয়া বা মানবাধিকার রক্ষার জন্য কাজ করা আওয়ামী লীগ প্লাসের বাইরে চিন্তা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ প্লাসের বাইরে বের হতে না পারলে দেশে সঠিক রাজনীতি সম্ভব হবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, যে কাঠামোতে বাকশাল তৈরি করা হয়েছিল. ঠিক তেমন করেই আওয়ামী লীগ প্লাস সৃষ্টি করা হয়েছে। সংবিধান সংশোধন করে বাকশাল করা হয়েছিল কিন্তু আওয়ামী লীগ প্লাস আইনগতভাবে করা হয়নি। যেমন বাকশালের জন্য কিছু আইন করা হয়েছিল যা আওয়ামী লীগ প্লাসের জন্য নেই।
বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, যখন সব কিছুই আওয়ামী লীগ প্লাস বা সেই দলের নেতাদের নিয়ন্ত্রণে, সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নির্বাচনে ফলাফল অসম্ভব এবং তারা কখনোই পরাজিত হতে চাইবে না
তিনি বলেন, আমেরিকার ভিসা নীতি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে। যারা এই নীতি ঘোষণা করেছেন তারা কতটা কার্যকর করেন তার ওপর নির্ভর করবে সব কিছু। সূএ : জাগোনিউজ২৪.কম
Posted ১২:১৯ | রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain