নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ০৮ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
সরকারবিরোধী জোট গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে গণঅধিকার পরিষদের বেরিয়ে আসা নিয়ে মুখ খুলেছেন সংগঠনটির আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া। জানিয়েছেন, জোট থেকে বেরিয়ে এলেও সরকারবিরোধী অবস্থানে তারা অটুট থাকবেন। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যাবেন।
সোমবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণঅধিকার পরিষদের অঙ্গ সংগঠন ‘প্রবাসী অধিকার পরিষদের’ তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন রেজা কিবরিয়া।
জোট ছাড়া প্রসঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা একটি জোট থেকে চলে এসেছি। তবে জোট থেকে চলে এলেও খুনি সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান থাকবে। গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে আমাদের অংশগ্রহণ থাকবে, ভোটের জন্য আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। অবৈধ সরকার হটানোর যুদ্ধ থেকে আমরা বেরিয়ে আসিনি।’
গত শনিবার (৬ মে) রাতে দলের এক নীতিনির্ধারণী সভায় সরকারবিরোধী সাতটি দলের সমন্বয়ে গঠিত গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দেয় ড. রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন সংগঠন গণঅধিকার পরিষদ।
এ প্রসঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ন আহ্বায়ক রাসেদ খাঁন ঢাকা মেইলকে বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চে থাকাবস্থায় নানা ধরনের সমালোচনা হচ্ছিল। তাই গণঅধিকার পরিষদ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গণঅধিকার পরিষদ এখন থেকে স্বতন্ত্রভাবে যুগপৎ আন্দোলনে শামিল হবে।
২০২২ সালের ৮ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনাতয়নে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে গণতন্ত্র মঞ্চের আত্মপ্রকাশের ঘটে। গণতন্ত্র মঞ্চের সাতটি দল হলো- আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বে নাগরিক ঐক্য, সাইফুল হকের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে গণসংহতি আন্দোলন, ড. রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বে গণ অধিকার পরিষদ, রফিকুল ইসলাম বাবলুর নেতৃত্বে ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও হাসনাত কাইয়ুমের নেতৃত্বে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
গণতন্ত্র মঞ্চের পথচলার শুরু থেকেই নানা বিষয় নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের মতবিরোধ চলে আসছিল। গণঅধিকার পরিষদ বের হয়ে যাওয়ায় এখন গণতন্ত্র মঞ্চে ছয়টি দল অবশিষ্ট থাকল।
প্রবাসী অধিকার পরিষদের আলোচনা সভায় রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আমার দেশের অর্থনীতি পোশাক শিল্পের ওপরে টিকে নেই। আমাদের অর্থনীতি টিকে আছে প্রবাসীর রেমিট্যান্স থেকে। প্রবাসীরা সোনার মানুষ। এয়ারপোর্টে এলে প্রবাসীর সাথে যেসব ব্যবহার করা হয় তা খুবই আপত্তিজনক। তাদের অধিকার নেই। আমরা ক্ষমতায় গেলে প্রবাসীর অধিকার বাস্তবায়ন হবে, আইনের শাসন থাকবে।’
আলোচনা সভায় গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, ‘আগামী নির্বাচনটি হবে দেশের গণতন্ত্র রক্ষার, গণতন্ত্রের অস্তিত্বের জন্য। এই নির্বাচন অবশ্যই নিরপেক্ষ হতে হবে। আর নির্বাচনের জন্য সহযোগিতামূলক আহ্বান জানানো হলে আমরা সহযোগিতা করব। এই নির্বাচনের জন্য অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফিরে আনতে হবে। এটা করা হলে সংঘাত থাকবে না। একটি সংলাপের মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ তৈরি করতে হবে।’
এ সময় তিনি সরকারকে ব্যর্থ দাবি করে তাদের সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। গণঅধিকার পরিষদকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিলে এক বছরের মধ্যে সবকিছু পরিবর্তন করে দেবেন বলে দাবি করেন নুর।
Posted ১০:০১ | সোমবার, ০৮ মে ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain