| মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০১৪ | প্রিন্ট
ঢাকা, ২৪ জুন ২০১৪ ( স্বাধীনদেশ ) : মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তার রায় আজ ঘোষণা হচ্ছে না। রায়টি ফের অপেক্ষমাণ রেখে নিজামীর স্বাস্থ্যের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার সকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এ নির্দেশ দেন। এর আগে কেন্দ্রীয় কারাগারের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে ট্রাইব্যুনালকে জানানো হয়, রাত সাড়ে ৩টার দিকে মতিউর রহমান নিজামী অসুস্থ হয়ে পড়েন।তার রক্তচাপ বেড়ে গেছে। ফলে তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা সম্ভব হচ্ছে না। মঙ্গলবার সকালে চিঠি নিয়ে কারাগারের তিনজন কর্মকর্তা ট্রাইব্যানালে আসেন। তারা ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার নাসির উদ্দিন আহমেদর কাছে চিঠিটি দেন। পরে ট্রাইব্যুনাল এ নির্দেশ দেন।
নিজামীর বিরুদ্ধে করা একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় মঙ্গলবার ঘোষণা করার কথা ছিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ সোমবার নিজামীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
এ রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থাও নেয়া হয়। এর আগে সোমবার রাত আটটার দিকে নিজামীকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।
গত বছর ১৩ নভেম্বর নিজামীর বিরুদ্ধে মামলার বিচার কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করে মামলাটি যেকোনো দিন রায় (সিএভি) ঘোষণার জন্য রেখেছিল ট্রাইব্যুনাল-১ এর তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল।
এরপর ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের চাকরির বয়সসীমা পূর্ণ হওয়ায় তিনি গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর অবসর যান। ফলে চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য হয়।
ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান পদে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। নতুন চেয়ারম্যান নিজামীর মামলায় নতুন করে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আদেশ দেয়। সে অনুয়ায়ী এ মামলায় পুনরায় যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
নিজামীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুট, ধর্ষণ, উস্কানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার মতো ১৬টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১২ সালের ২৮ মে তার বিচার শুরু হয়।
নিজামীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে ৪ জন সাফাই সাক্ষী সাক্ষ্য দেয়। সাক্ষীদের জেরা করে প্রসিকিউশন। নিজামীর বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ আগস্ট থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত সাক্ষী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা, অধ্যাপক, সাংবাদিক ও ইতিহাসবিদসহ মোট ২৬ সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ করেছেন। আসামিপক্ষ এসব সাক্ষীর জেরা করেছে।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের এক মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন মতিউর রহমান নিজামীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে একই বছরের ২ আগস্ট এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনালের আদেশে তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায গ্রেফতার দেখানো হয়।
Posted ১০:১৭ | মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin