| শনিবার, ২১ মার্চ ২০২০ | প্রিন্ট
মুহাম্মদ রফিকুলইসলাম মাসুম :
উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে বাগেরহাট-৪ আসনে জাতীয় সংসদ সদস্য পদে উপ-নিবার্চনের ভোট গ্রহণ। কেন্দ্রেগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। করোনা আতঙ্ক থাকলেও প্রতিটি কেন্দ্রেই রয়েছে নারী পুরুষ ভোটারদের দীর্ঘ লাইন।
আজ শনিবার (২১মার্চ) সকাল ৯ টা থেকে মোরেলগঞ্জ-শরণখোলার দু’ উপজেলায় একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে একটানা ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মোট ১৪৩ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন চলছে। দু’ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৬ হাজার ৫১০জন। তন্মধ্যে নারী ভোটার সামান্ন কিছু বেশি।
নির্বাচন অবাধ ও শুষ্ঠু করার লক্ষে স্ট্রাইকিং ফোর্স, মোবাইল কোর্ট, আনছার ভিডিপি, পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। র্যাবের টহল টিম ও রয়েছে।
এ আসনে ৫ বারের নির্বাচীত এমপি সাবেক মন্ত্রী ডা.মো. মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যুতে আসনটি শূণ্য হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী আজ ২১ মার্চ এ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলন ও জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনীত প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রী।
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন বেলা ৯টায় পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে আব্দুল আজীজ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে স্বস্ত্রীক ভোট প্রদান করেছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রী কামলা জিলবুনিয়া কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, সকাল ৯ টায় ভোট গ্রহন শুরুর অনেক আগে থেকেই কেন্দ্রগুলোর সামনে ভিড় জমতে থাকে ভোটারদের। নারী-পুরুষ আলাদা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন ভোট কেন্দ্র খোলার। তাদের মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা গেছে।
সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত একাধিক ভোটকেন্দ্র ঘুড়ে দেখাগেছে, প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোটারের লম্বা লাইন। উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যেই ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট দিচ্ছেন। বিভিন্ন কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি সবচেয়ে লক্ষ্যণীয়। দীর্ঘদিন পরে ভোটকেন্দ্রবিমূখ নারী পুরুষ ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্তীকে ভোট দিতে পেরে বেজায় খুশি।
এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃংখলা বাহিনী ও নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের ভোটাদের সার্বিক সহযোগিতা করতে দেখা গেছে। নির্বাচনী এলাকাগুলোতে টহল দিচ্ছে স্ট্রাইকিং ফোর্স, মোবাইল কোর্ট, পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব-৬ সদস্যরা।
Posted ১০:৫৩ | শনিবার, ২১ মার্চ ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Rafiq Masum