স্টাফ রিপোর্টার : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুরআন ক্লাস থেকে অন্যায়ভাবে শিবিরের ২০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার এবং তাদের জড়িয়ে পুলিশের বানোয়াট বক্তব্যের প্রতিবাদে গত ০৭ ডিসেম্বর শনিবার পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে যুক্তরাজ্যের প্রবাসি বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে লন্ডন ভিত্তিক প্রবাসী বাংলাদেশীদের মানবাধিকার সংগঠন ‘স্ট্যান্ড ফর বাংলাদেশ’ এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
সংগঠনটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং অর্গানাইজিং সেক্র্রেটারী মোহাম্মদ মাসুদুল ইসলাম ও মো: শোয়াইবুর রহমানের যৌথ পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলসহ দেশী-বিদেশী সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
স্ট্যান্ড ফর বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাএনেতা মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, সরকার ছাত্রশিবিরকে আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে দমন নিপীড়ণ ও ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। গত ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে কোন কারণ ছাড়াই অন্যায় ভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘরের একটি মসজিদ থেকে ছাত্রশিবিরের নিয়মিত প্রোগ্রাম কুরআন ক্লাস থেকে অন্যায়ভাবে ২০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই অন্যায় গ্রেপ্তারের পর পুলিশ নিরপরাধ শিবির নেতাকর্মীদের জড়িয়ে তাদের মুখস্ত কথা ‘জিহাদী বই’ উদ্ধারের গল্প প্রচার করেছে। এ গ্রেপ্তার যেমন অন্যায় ভাবে হয়েছে তেমনি তাদের বক্তব্যেও সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ও সাজানো।
কুরআন ক্লাস ছিল ছাত্রশিবিরের নিয়মিত প্রোগ্রামের অংশ এবং সেখান থেকে পুলিশ বেআইনি কিছুই পায়নি। তবুও দেশের স্বীকৃত প্রকাশনীর ইসলামী বই-পুস্তক ও কুরআন-হাদিস জব্দ করে এগুলোকে জেহাদী বই হিসেবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। মূলত ছাত্রশিবিরের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এবং মেধাবী ছাত্রদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দেয়ার জন্য পুলিশ এই অনৈতিক ও দায়িত্বহীন আচরণ করেছে। পরিকল্পিত ভাবে নিরপরাধ মেধাবী ছাত্রদের প্রতি পুলিশের এই দায়িত্বহীন আচরণ কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। একটি মুসলিম দেশে কুরআন ক্লাসের প্রোগ্রামে পুলিশের এমন দায়িত্বহীন আচরণ জাতির জন্য চরম লজ্জা ও হতাশার বিষয়। আমরা স্ট্যান্ড ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই ঘৃন্য অপকর্মের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংগঠনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া আরো বলেন, ইতিপূর্বে বহুবার পুলিশ নিরপরাধ শিবির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে জিহাদি বইয়ের নাটকসহ বিভিন্ন নাটক মঞ্চস্থ করেছে। যা সময়ের ব্যবধানে মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে এবং মিথ্যাচারের জন্য পুলিশ জনগণের ধিক্কার কুড়িয়েছে। কিন্তু পুলিশ এখনো নাটক মঞ্চায়নের ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। পুলিশের এই ধারাবাহিক অমানবিক দায়িত্বহীনতায় হুমকির মুখে আজ হাজারো ছাত্রের জীবন। যা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ছাত্রশিবির আদর্শবাদী সংগঠন ও শান্তিপূর্ণ পথ চলায় বিশ্বাসী। পুলিশের এই প্রতিহিংসাপূর্ণ তামাশায় বহু মেধাবী ছাত্রের শিক্ষা জীবন আজ ধ্বংসের মুখে। আমরা অবিলম্বে এই বেআইনি উওেজিত কর্মকান্ড বন্ধের দাবি জানাচ্ছি!
এসময় স্ট্যান্ড ফর বাংলাদেশের সেকরেটারী মো: তরিকুল ইসলাম বলেন, অবৈধ আওয়ামিলীগ সরকার শিবির কর্মীদের গ্রেফতার করে দেশকে জংগী রাস্ট্র বানাতে চাই তাদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য। কিন্তু তাদের আশা কখনোই সফল হবে না।
অবিলম্বে তাদের মুক্তি দেয়ার আহবান জানান।
প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট খাইরুল ইসলাম, অ্যাসিট্যানট সেক্রেটারি বেলাল হোসেন মোল্লা, সহকারী অগানাইজিং সেক্র্রেটারী ডা: আবু তাহের মোহাম্মাদ বাহার, অনলাইন এক্টিবিস্ট ফোরামের দেলোয়ার হোসাইন, শাহান বিন নিজাম, আবদুস সালাম, মোহাম্মদ শরীফুজজামান, মোঃ ফাওজুল আজীম এবং মনিরুল হক সহ আরো অনেকে।