| রবিবার, ২৩ মার্চ ২০১৪ | প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ তিনজনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছে ভারপ্রাপ্ত মহানগর দায়রা জজ রুহুল আমীন। মহানগর দায়রা জজ জাহরুল হক ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত মহানগর দায়রা জজ জামিন শুনানী গ্রহন করেন উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিনের আবেদন না-মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৮ মাচ (মঙ্গলবার) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জহিরুল হকের আদালতে তাদের পক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। আদালত আজ ২৩ মার্চ শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছিলেন।
মির্জা ফখরুল ছাড়া বিএনপির অন্য যে দুই নেতার জামিনের আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালাম।
গত ১৬ মাচ (রোববার) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার মাহমুদ আদনানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে রমনা থানায় দায়েরকৃত তিনটি হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তারা জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এ আদেশে আসামি পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফৌজদারী বিবিধ মামলা দায়ের করে জামিনের আবেদন করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৯ মার্চ এসব মামলায় ফখরুল-আব্বাস-সালামসহ বিএনপির যুগ্ম-মহাসিচব আমানুল্লাহ আমান ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক নাসিরের হাইকোর্টের দেয়া আগাম জামিন বাতিল করে দেন আপিল বিভাগ।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন- ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস ও আবদুস সালাম।
মামলা গুলির এজাহার থেকে জানাযায়,গত বছরের ৩০ নভেম্বর মালিবাগ চৌধুরীপাড়া আবুল হোটেলের পাশে পদ্মা সিনেমা হলের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তদের ছোড়া ককটেলে নিয়ন্ত্রণ হারানো ওই বাসের চাপায় রিকশা আরোহী হাবিবুর রহমান নিহত এবং ওই বাসের দুই যাত্রী, দুই পথচারী ও বাসের হেলপার গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় রমনা থানায় রমনা ১(১২)১৩ মামলাটি দায়ের করা হয়।
গত ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর বাংলামোটরে রাত সোয়া ১১টার দিকে পুলিশের রিকুইজিশন করা গাড়িতে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রোলবোমার দগ্ধ হয়ে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মো. ফেরদৌস নিহত হওয়া ও বাসচালকসহ আরো এক পুলিশ সদস্য দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় রমনা থানায় রমনা-৪২(১২)১৩ দায়ের করা হয়।
এ ছাড়া এ বছরের ৩ জানুয়ারি রাজধানীর পরীবাগ এলাকায় রূপসী বাংলা হোটেলের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তের ছোড়া পেট্রোলবোমায় ৩ জন অগ্নিদগ্ধ গুরুতর ভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধরা হলেন- শাহিনা আখতার রূপসা, বাবুল মিয়া ও ফরিদ উদ্দিন ।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করে। পরে শাহিনা আকতার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় রমনা থানায় রমনা-৭(১)১৪ মামলাটি দায়ের করা হয়।
Posted ১৩:৪৩ | রবিবার, ২৩ মার্চ ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin