শুক্রবার ১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্নীতি অনিয়মে ধ্বংস হচ্ছে ব্যাংকিং খাত

  |   রবিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট

দুর্নীতি অনিয়মে ধ্বংস হচ্ছে ব্যাংকিং খাত

ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দুর্নীতি, অনিয়মে ধ্বংস হচ্ছে ব্যাংকিং খাত। এ খাতে এখন সুশাসনের অভাব ও অব্যবস্থাপনা জেঁকে বসেছে। অর্থনৈতিক বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে। দেশের উন্নয়ন সমতাভিত্তিক হচ্ছে না। সমতাভিত্তিক উন্নয়ন না হলে তা টেকসইও হয় না।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও সুশাসন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। দ্য ঢাকা ফোরামের আয়োজনে গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান, মইনুল হোসেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ, প্রকৌশলী এনামুল হক প্রমুখ। সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ব্যাংকিং খাত দীর্ঘদিন ধরেই নানা সমস্যায় জর্জরিত। এখন এই খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো সুশাসনের অভাব। অভ্যন্তরীণভাবে ব্যাংকিং খাতে সুশাসন বলতে কিছু নেই। ব্যাংকিং খাতের জন্য যেসব নীতিমালা, আইন-কানুন, আন্তর্জাতিক রীতি আছে সেগুলো সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংকি খাত জড়িত। এই খাতের উন্নয়ন না হলে প্রবৃদ্ধি টেকসই হবে না।

আর্থিক কাঠামো দুর্বল হবে। ব্যাংক খাতের এই দুর্দশা একদিনে সৃষ্টি হয়নি। সঠিক একটি ব্যবস্থাপনার মধ্যে নিয়ে আসা এখন খুবই জরুরি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর বলেন, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির সূচকগুলোর অর্জন ভালো। প্রবৃদ্ধি ৬ এর বৃত্ত থেকে বের হওয়া গেছে। এটি ইতিবাচক। সার্বিক উন্নতি সন্তোষজনক। এটা আমাদের ধরে রাখতে হলে আরও কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক সহনশীলতা ও সুস্থ রাজনৈতিক চর্চার অভাব প্রকট। সবচেয়ে মারাত্মক হলো আইনের শাসনটা নেই। আইন আছে, কিন্তু এর বাস্তবায়নের দীর্ঘসূত্রতা আছে। সুশাসন ছাড়া কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। হাফিজউদ্দিন খান বলেন, দেশের কোনো প্রতিষ্ঠান নিরপেক্ষ ও সৎ নেই। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচার প্রশাসনসহ সব প্রতিষ্ঠান একটা হ-য-ব-র-ল অবস্থার মধ্য দিয়ে চলছে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের কথা বলে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এটা একনেকে পাস হওয়ার আগেই একটি বাহিনী ব্যাংকের মাধ্যমে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খুলে রেখেছে। ব্যাংকগুলোও এলসি খোলার অনুমতি দিল কীভাবে আমার জানা নেই। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতা না ছাড়ার নির্বাচন জাতিকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে। মনে রাখতে হবে, অবাধ নির্বাচনের দাবি জাতীয় দাবি, এটা কোনো দল বিশেষের দাবি নয়। সংসদীয় গণতন্ত্রের নির্বাচন সংসদীয় ব্যবস্থার মধ্যেই নিহিত। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৩:১৯ | রবিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১  
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com