| মঙ্গলবার, ০৭ আগস্ট ২০১৮ | প্রিন্ট
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে যুক্তিতর্ক শুনানির জন্যও একই দিন ধার্য করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর বকশীবাজারে অবস্থিত ঢাকার ৫ নং বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক শেখ নাজনুল আলম এ আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার মামলাটির যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে কারাগার থেকে খালেদা জিয়াকে হাজির না করে কাস্টডি ওয়ারেন্ট পাঠান কারা কর্তৃপক্ষ। কাস্টডিতে লেখা হয়, ‘খালেদা আজ শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি।’ অপরদিকে খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আইনজীবীরা তার জামিন বৃদ্ধির আবেদন করেন।
এ মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুদক।
উল্লেখ্য, দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসানকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। একই মামলায় অন্য আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রায়ের পর খালেদা জিয়াকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। এ মামলায় তার জামিন হলেও অন্য মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকায় তিনি জামিনে মুক্ত হতে পারছেন না।
Posted ১৩:২৬ | মঙ্গলবার, ০৭ আগস্ট ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain