
| রবিবার, ০৫ আগস্ট ২০১৮ | প্রিন্ট
আমিন মুনশি : সন্তান জন্মের পর আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায়ের লক্ষ্যে জন্মের সপ্তম দিনে পশু জবাই করাকে আকিকা বলে। আকিকা করা মুস্তাহাব। হাদীস শরীফে এর প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। রাসূলে কারীম (সা.)-কে আকিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সন্তানের আকীকা করার ইচ্ছা করে সে যেন তা পালন করে। ছেলের জন্য সমমানের দুটি ছাগল। আর মেয়ের জন্য একটি। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস: ৭৯৬১)
অন্য হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সন্তানের সাথে আকিকার বিধান রয়েছে। তোমরা তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত কর (অর্থাৎ পশু জবাই কর) এবং সন্তানের শরীর থেকে কষ্টদায়ক বস্তু (চুল) দূর করে দাও। (সহীহ বুখারী, হাদীস: ৫৪৭২)
সন্তান জন্মের সপ্তম দিন আকিকা করা উত্তম। জামে তিরমিযীর এক হাদীসে সপ্তম দিনে আকিকা করার কথা বলা হয়েছে। (হাদীস:১৫২২)
রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর দৌহিত্রদ্বয় হাসান ও হুসাইন (রা.)-এর আকিকা সপ্তম দিনে করেছেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২৮৩৪)
তাই সম্ভব হলে সপ্তম দিনেই আকীকা করা উত্তম।
সপ্তম দিনে সম্ভব না হলে চৌদ্দতম দিনে বা একুশতম দিনে করা ভালো। উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. বলেন, আকীকা সপ্তম দিনে হওয়া উচিত। তা সম্ভব না হলে চৌদ্দতম দিনে। এবং তাও সম্ভব না হলে একুশতম দিনে। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৭৬৬৯)
অবশ্য একুশ দিনের মধ্যে করা না হলে পরবর্তীতেও তা আদায় করা যাবে।
সন্তানের আকিকা করার দায়িত্ব তার পিতার। অবশ্য অন্য কেউ বা নিজেও নিজের আকিকা করা জায়েজ আছে।
আকিকার গোশত সন্তানের পিতামাতা, আত্মীয়স্বজন সকলেই খেতে পারবে। আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আকিকার গোশত নিজে খাবে, অন্যকে খাওয়াবে এবং কিছু সদকা করবে। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৭৬৬৯)
সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা রাহ. বলেন, আমি আতা (রাহ.)-কে বলতে শুনেছি, আকিকার গোশত তার পরিবার খেতে পারবে এবং হাদিয়াও দিতে পারবে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তা কি সদকা করে দিতে হবে? তিনি বললেন- না, তুমি চাইলে খেতে পার এবং হাদিয়াও দিতে পার। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস: ৭৯৬৯ ফাতহুল বারী ৯/৫০৭; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৩/৩৭০; রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৬; আলমাওসূআতুল ফিকহিয়্যাহ, কুয়েত ৩০/২৭৬; তুহফাতুল মাওদূদ বিআহকামিল মাওলূদ ৭৮)
Posted ১৪:৪৬ | রবিবার, ০৫ আগস্ট ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain