| মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই ২০১৮ | প্রিন্ট
নির্বাচনী বছরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা ধরে সংযত
ধরণের মুদ্রানীতি ঘোষণা করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগের মুদ্রানীতিতেও বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি একই ছিল।
আজ মঙ্গলবার চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথমার্ধের জন্য (জুলাই-ডিসেম্বর) মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
এ সময় ডেপুটি গভর্নর ও আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান, এস এম মনিরুজ্জামা, আহমেদ জামাল,বাংলাদেশ ব্যাংকের চেইঞ্জ ম্যানেজমেন্ট পরামর্শক আল্লা মালিক কাজমী, ব্যাংকিং রিফর্ম অ্যাডভাইজার এস. কে. সুর চৌধুরী, প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. ফয়সল আহমেদ, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মো. আখতারুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ। সরকারি ঋণের প্রাক্কলন করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ শতাংশ। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ।
মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে গভর্নর বলেন, নির্বাচনী বছরে টাকার সরবারহ বেড়ে যাবে। এজন্য আগের ধারাবাহিকতায় মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতিভংগী সংযত ধরণের হবে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৮ শতাংশ ধরা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি বছর দুইবার মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে থাকে। ছয় মাস অন্তর এই মুদ্রানীতি একটি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জুলাই মাসে এবং অন্যটি জানুয়ারি মাসে। দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় মুদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে পরবর্তী ছয় মাসে অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে এর একটি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।
Posted ১৬:২৭ | মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain