| মঙ্গলবার, ২৯ মে ২০১৮ | প্রিন্ট
মানহানির দুটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলা দুটি হলো, বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা অবমাননা করা এবং ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালন।
মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
বিএনপি প্রধানের জামিন আবেদনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও খন্দকার মাহবুব হোসেন। শুনানি শেষে আদালত আদেশ দেয়ার জন্য আগামী বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।
বাংলাদেশের মানচিত্র ও আলবদর-রাজাকারদের গাড়িতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা দিয়ে অবমাননা করা হয়েছে এমন অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা করা হয়। মামলাটি করেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী।
মামলাটিতে ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। চলতি বছরের ১২ এপ্রিল খালেদার আইনজীবীরা জামিন চান। গত ১৭ মে আদালত তৃতীয় দফায় সময় পিছিয়ে আদেশের জন্য আগামী ৫ জুলাই আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন। এ অবস্থায় তার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
এছাড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অন্য মামলাটি করা হয়। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম মামলাটি করেন। মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর গত ২৫ এপ্রিল এ মামলায় খালেদা জিয়া জামিন চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু জামিন না দিয়ে ১৭ মে শুনানির দিন নির্ধারণ করেন আদালত। পরবর্তীতে ওই তারিখে তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের আদেশ দিয়ে ৫ জুলাই জামিন বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেন। এ অবস্থায় তার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। রায়ের পরপর তাকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি সেখানেই আছেন।
Posted ১৫:৫৬ | মঙ্গলবার, ২৯ মে ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain