| শনিবার, ১০ মার্চ ২০১৮ | প্রিন্ট
রবিবার বিচারিক আদালত থেকে হাইকোর্টে আসবে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার নথি। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদার জিয়ার নথি প্রাপ্তি সাপেক্ষে ওইদিনই জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য রেখেছেন আদালত। এদিকে খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়া না পাওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহল ছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, আপিলকারী একজন বয়ষ্কা নারী। এছাড়া শারীরিক অসুস্থতা এবং সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে আমরা জামিন চেয়েছি। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আদালত খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করতে পারেন।
তবে জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, অপরাধের গভীরতা বিবেচনায় নিয়ে আপিলকারীর জামিন মঞ্জুর করা ঠিক হবে না। এতিমের টাকা খোয়া যাওয়ার মামলায় খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়া হলে আপিলের শুনানি আর কখনই সম্ভব হবে না। এজন্য বিশেষ ব্যবস্থায় পেপারবুক করে দ্রুত মূল আপিলের শুনানি করা দরকার।
জানা যায়, নথির সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার সকাল দশটার মধ্যে নথি হাইকোর্টে পৌঁছানো হবে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, খালেদা জিয়াকে সহজেই মুক্ত হতে দেবে না, এটা সরকারের দুরভিসন্ধি। তার মামলা নিয়ে বিভিন্ন মহল বিভিন্ন রকম বক্তব্য উপস্থাপন করছেন যাতে করে দেশের মানুষ বিভ্রান্ত হয়। যাতে তিনি আদালত থেকে জামিনে বের হতে না পারেন।
গত ৮ মার্চ খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জামিন আবেদনের ওপর আদেশ দেওয়ার জন্য হাইকোর্টে আবেদন জানান। হাইকোর্ট রবিবার আদেশের জন্য দিন ধার্য রাখেন।
এছাড়া গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের এবং দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় তারেক রহমানসহ অপর ৫ আসামিকে। এই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল গত ২২ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে ১৫ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালত থেকে নথি পাঠাতে বলা হয়। আপিল শুনানির জন্য গৃহীত হওয়ার পরদিনই খালেদা জিয়া হাইকোর্টে জামিন চান। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে নথি প্রাপ্তি সাপেক্ষে জামিনের ওপর আদেশ দেওয়া হবে বলে জানায় আদালত।
Posted ১৫:৩১ | শনিবার, ১০ মার্চ ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain