
| শনিবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | প্রিন্ট
৮ ফেব্রুয়ারী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে বৃহত্তর চট্টগ্রামে বড় ধরনের নাশকতার আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেদিন রাজপথ দখলে রাখার জন্য নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। আর নাশকতা প্রতিরোধের পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিশ।
বিএনপি-জামায়াতের নানা নাশকতার কারণে ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ছিল এক আতংকের জনপদ। গাড়িতে আগুন দেয়া, প্রকাশ্যে বোমাবাজি, পুলিশের উপর হামলাসহ সব ধরনের নাশকতাই ঘটেছে। গত তিন বছর কোনো রাজনৈতিক নাশকতার ঘটনা না ঘটলেও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এখানকার রাজনীতির অঙ্গন।
চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন,’ খালেদা জিয়াকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়। আর সরকার যদি জগদ্দল পাথরের মতো থাকার জন্য সাজা দিতে চায় তাহলে চট্টগ্রামবাসী রাজপথে নেমে আসবে।’
চট্টগ্রাম নগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর বলেন, ‘আমরা অহিংস কর্মসূচি পালন করবো। জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা রাজপথে নেমে আসবো এবং এর তীব্র প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করা হবে এর বিরুদ্ধে।’
৮ ফেব্রুয়ারির রায় বিপক্ষে গেলে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে এধরনের অন্তত একশ পয়েন্ট চিহ্নিত করেছে পুলিশ প্রশাসন। সে সাথে নিরাপত্তা পরিকল্পনায় থাকছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ড অংশ।
সিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাসুদ উল হাসান বলেন, ‘ আমাদের যতগুলো স্ট্রাটেজিক পয়েন্ট আছে আমরা মনে করি সেসব পয়েন্টগুলোতে কিছু হতে পারে, সেসব স্থানে আমাদের সার্ভে করা আছে। যেকোন নাশকতায় ঘটনায় আমাদের পুলিশ বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।’
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা বলেন, ‘আমরা পূর্বে ইতিহাস থেকে দেখেছি, সীতাকুন্ড, লোহাগড়া, সাতকানিয়া,পটিয়া, হাটহাজারিতে নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। তবে এবার ওই এলাকাসহ অন্য এলাকাগুলোতে আমাদের নজরদারি রয়েছে।’
বিগত সময়ে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতার বড় একটি অংশ ছিলো রেল যোগাযোগ। তাই এবার রেল লাইন কেন্দ্রিক নাশকতা প্রতিরোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ।
জিআরপি পূর্বাঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রেন বন্ধ করে ফেলা, রেললাইন উপরে ফেলা এই সব কারণে আমরা আগে থেকে তাদেরকে নজরদারির মধ্যে রেখেছি। যাতে তারা কিছু করতে না পারে।’
২০১৩ এবং ১৪ সালে নাশকতার ঘটনায় বৃহত্তর চট্টগ্রামে আড়াইশ’র বেশি মামলা হয়। জামায়াত-বিএনপি’র প্রায় ৫০ হাজার নেতাকর্মী আসামি হিসেবে আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত নাশকতার কোনো মামলারই বিচার সম্পন্ন হয়নি।
সূত্র : সময় টিভি
Posted ১৫:৫৪ | শনিবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain