
| শুক্রবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | প্রিন্ট
বিএনপিপন্থী একটি সংগঠনের আলোচনায় প্রধান অতিথি হওয়ার কথা ছিল দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের। কিন্তু তিনি এলেন না। কেন আসেননি সেই ব্যাখ্যাও দেয়া হয়নি সংগঠনের পক্ষ থেকে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে’ আলোচনার আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম নামে একটি সংগঠন। এখানেই আসার কথা ছিল মওদুদের।
গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের সামনে প্রিজন ভ্যানে বিএনপি কর্মীদের হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন উত্তপ্ত। ওই রাতেই আটক হন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। পরদিন আটক হন আজিজুল বারী হেলাল, হাসান মামুন। বিএনপির ৫০ জনেরও বেশি কর্মী গেছেন রিমান্ডে।
বিএনপির পক্ষ থেকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকারসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বাসাতেও পুলিশের অভিযান চালানোর অভিযোগ করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে বিএনপি নেতাদের প্রতিবাদ সভায় অংশগ্রহণের নিয়মিত চিত্র দেখা যায়নি আজ।
জাতীয় প্রেসক্লাবের আলোচনায় ‘অনিবার্য কারণে’ মওদুদ অনুপস্থিত থাকার পর প্রধান অতিথি হিসেবে দলের যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বক্তব্য দেন।
আলালের দাবি, হাইকোর্টের সামনে প্রিজন ভ্যানে হামলায় জড়িত গোয়েন্দা সংস্থা। তার দাবি, বিএনপির আন্দোলন দমাতেই এই হামলা করা হয়েছে।
গত ৩০ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়া আদালত থেকে ফেরার পর হাইকোর্ট এলাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় আটক দুই নেতাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে হামলা করে নেতা-কর্মীরা। ভ্যানের দরজা ভেঙে তিন জনকে ছিনিয়ে নেয়ার পাশাপাশি পুলিশের অস্ত্রও ভেঙে ফেলে তারা।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় একে দেয়া দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া নেতা-কর্মীদের প্রতিরোধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তবে পরদিন এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, ওই ভ্যানে যারা হামলা করেছে তাদেরকে তারা চিনতে পারছেন না। অনুপ্রবেশকারীরা এই হামলায় জড়িত।
আলাল বলেন, বিরোধী দলকে দমানোর কৌশল নিয়েছে সরকার। প্রিজন ভ্যানে হামলা এরই একটি কৌশল।
সরকার গণগ্রেপ্তার করছে অভিযোগ করে আলাল বলেন, ‘জনজোয়ার যখন আসে তখন কাউকে থামানো যায় না। কয় জনকে গ্রেপ্তার করবেন?’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আগামী ৮ তারিখে বেগম জিয়ার রায় দিয়ে তারা নির্বাচনের পথ প্রসস্ত করতে চায়। সেই সুযোগ আওয়ামী লীগ কোনো দিন পাবে না, আগামী ৮ তারিখ রাজপথ আমরা দখলে রাখব।’
‘আমরা গ্রেপ্তার হলে, নীচের স্তরের নেতাকর্মীরা রাজপথে নেতৃত্ব দেবে। সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে, ৮, ৯, ১০ তারিখ কোন বিষয় নয় এর পর থেকে রাজপথে আমাদের থাকতে হবে।’
আলোচনার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আলাল বলেন, ‘বিএনপি একাদশ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রচণ্ড রকমের আগ্রহী এবং সারা দেশে সেই মনোভাবটা আগের চেয়ে চাঙ্গা।
Posted ১০:৪৯ | শুক্রবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain