জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের স্পিকার সাবিনা আখতার তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

এ সময় তারা রোহিঙ্গা ইস্যু, বাংলাদেশের উন্নয়ন, বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকদের সাফল্য নিয়ে আলোচনা করেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী টাওয়ার হ্যামলেটসের প্রথম নারী স্পিকার নির্বাচিত হওয়ায় সাবিনা আখতারকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘টাওয়ার হ্যামলেটসের স্পিকার বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ায় ব্রিটেনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।’

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সাবিনা আখতার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। এ সময় তিনি রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ স্থায়ী প্রত্যাবর্তনে টাওয়ার হ্যামলেটসের পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।

রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ স্থায়ী প্রত্যাবর্তনে জনমত তৈরিতে টাওয়ার হ্যামলেটস ভূমিকা রাখায় ধন্যবাদ জানিয়ে স্পিকার বলেন, ‘জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত পাঁচ দফার ভিত্তিতেই রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে স্থায়ী প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া চলমান।’

টাওয়ার হ্যামলেটসের স্পিকার কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের ৬৩তম কনফারেন্স সফলভাবে আয়োজনের জন্য ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘সিপিএ’র মতো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দেয়ায় আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশ প্রশংসিত হয়েছে।’

সাবিনা আখতার বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকরা বৃটেনের নামী স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো ফলাফল করছে এবং চাকরি ও ব্যবসা বাণিজ্যে কৃতিত্বের সাক্ষর রাখছে।’

এ সময় সেন্টার ফর নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশিস (এনআরবি) চেয়ারম্যান এম এস সেকিল চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।