
| সোমবার, ০৮ জানুয়ারি ২০১৮ | প্রিন্ট
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে পর্যটন মৌসুমে ভ্রমণে এসে পুলিশের দ্বারা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন পর্যটকরা। ট্যুরিস্ট পুলিশের অসদচারণের পাশাপাশি নিরাপত্তাহীনতাসহ নানা কারণে কক্সবাজারে ভ্রমণে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না বলেও অভিযোগ তাদের।
পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ায় ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কক্সবাজারে ছুটে আসছে ভ্রমণ পিপাসুরা। যান্ত্রিকতা পেরিয়ে সমুদ্র সৈকতে ভিন্নতার খোঁজে প্রতিদিনই পর্যটকের পদভারে মুখরিত থাকছে সৈকতের সবক’টি পয়েন্ট। পর্যটকরা সৈকতে বিভিন্ন পয়েন্টে আনন্দ, হৈ-হুল্লোড়ের পাশাপাশি সমুদ্রস্নানেও মেতে উঠছেন নিজের মতো করে।
কিন্তু তাদের এই আনন্দে সৃষ্টি হচ্ছে নানাধরেণের প্রতিবন্ধকতা। তাদের অভিযোগ, সৈকতের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যক্রম পরিচালিত হলেও তাদের দেখা মিলে খুবই কম। আর যাদের দেখা মিলে তারাও করছেন অসদচারণ।
পর্যটকেরা বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশদের ব্যবহার অনেক খারাপ। তারা বিভিন্ন ধরণের কথা বলে হয়রানি শিকার করছে আমাদের। পাশাপাশি তারা কাবিন নামাও দেখতে চায় আমাদের।
পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের যাত্রা শুরু হলেও তারা কার্যত পর্যটকবান্ধব হয়ে ওঠেনি। এতে পর্যটকদের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র মো. সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, পর্যটকদের সেবা করার জন্য তাদের নিযুক্ত করা হয়েছে কিন্তু তাদের দ্বারাই যদি পর্যটকেরা হেনস্থা হয় তাহলে কিভাবে হবে? তাহলেতো কক্সবাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন পর্যটকরা।
এদিকে টুরিস্ট পুলিশের বিচ্ছিন্ন ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল।
তিনি বলেন, এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে পর্যটকবান্ধব পুলিশিং ব্যবস্থা এবং পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করা হচ্ছে।
হোটেল মালিকদের দেয়া তথ্যানুযায়ী, পর্যটন মৌসুমে গড়ে প্রতিদিন ১ লাখ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণ করছেন। আর ছুটির দিন থাকলে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ লাখে।
Posted ০৮:২১ | সোমবার, ০৮ জানুয়ারি ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain