
| রবিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০১৮ | প্রিন্ট
গুমের জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, নয় বছরে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারাই দেশে গুমের ঘটনা ঘটাচ্ছে।
রবিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির উদ্যোগে এক আলোচনায় এই অভিযোগ করেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক। বিএনপি-জামায়াতের সরকারবিরোধী আন্দোলনে পেট্রল বোমা হামলা ও অন্যান্য নাশকতা নিয়ে খ- চিত্র প্রদশর্নীরও আয়োজন করা হয় এ সময়।
আলোচনায় আওয়ামী লীগ নেতাদের পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধে পেট্রল বোমায় দগ্ধ হয়ে নিহত কয়েকজনের স্বজন বক্তব্য রাখেন।
ওবায়দুল কাদের বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনে নাশকতা ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সাম্প্রতিক আলোচিত বিষয় নিখোঁজ ও গুম নিয়ে। এই নিখোঁজ বা গুমের জন্য বিরোধী দল বিএনপি সরকারি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে দায়ী করে আসছে।
২০১৭ সালে সারাদেশে ৯১ জন নিখোঁজ হয়েছে বলে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এদের মধ্যে ওবি বছর ২৬ জন ফিরে আসে। বাকিদের কোনো হদিস নেই।
এই নিখোঁজের ঘটনা ব্যাপকভাবে গুম বলেও পরিচিতি পাচ্ছে। দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনও এই বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পরিস্থিতি যতটা বলা হচ্ছে অতটা খারাপ নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, অনেক ক্ষেত্রে টাকা পয়সা সংক্রান্ত বা অন্য বিরোধের কারণে মানুষ নিজে থেকেও লুকিয়ে থাকে। আর যারা প্রকৃত নিখোঁজ তাদের উদ্ধারে সরকারের তৎপরতা রয়েছে বলেই সাম্প্রতিক সময়ে অনেকে ফিরে এসেছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অবশ্য বলেছেন অন্য কথা। তিনি বলেন, ‘দেশে হঠাৎ হঠাৎ লাশ পরে থাকে। যারা নয় বছর আন্দোলনে ব্যর্র্থ তারাই দেশের গুমের ঘটনা ঘটাচ্ছে। তাদের একজন সুইডেনে বসে কিলিং গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করছে। তার নাম নাহিদ।’
‘পাকিস্তাানির দোসরা এখনো বাংলার মাটিতে বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। তারা এখনও রক্তের হলিখেলা খেলছে। যারা পাকিস্তানি কায়দায় জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এরাই আবার গুম খুনের কথা বলে। গুমের নাটক সাজায়।’
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশে মানবিকতাকে অপমান করেছে হিং¯্র দানবতার মাধ্যমে। তারা দেশের মানুষকে পুড়িয়ে মেরে এখন কোন মুখে দেশের মানুষের কাছে ভোট চায়?
২০১৮ সালকে সাম্প্রদায়িকতার পরাজয়ের বছর উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘যারা গণতন্ত্রের মুখোশ পড়ে আছে, তাদের মুখোশ জাতীর সামনে উম্মোচন করতে হবে। …আবার তাদের পরাজিত করে শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে।’
সরকারবিরোধী আন্দোলনে পেট্রল বোমায় দগ্ধ মাইশার মা ও নুরুজ্জামানের স্ত্রী মাফরুহা বেগম, ট্রাক চালক পটল মিয়া, পুলিশ কনেস্টেবল মোর্শেদ আলম, আলু ব্যবসায়ী রেজাউল করিম, বিক্রয় কর্মী মোশাররফের স্ত্রী লাভলী আক্তারও তাদের দুর্দশার কথা বলেন।
পরে ওবায়দুল কাদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব তহবিল সহায়তা তুলে দেন। বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কন্যা আপনাদের পাশে আছে, থাকবে। শেখ হাসিনা বিপন্ন মানবতার বাতিঘর।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এইচটি ইমাম, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, কার্যনিবার্হী সদস্য এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ এ সময় বক্তব্য রাখেন।
এর আগে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের সময় পেট্রল বোমা হামলা ও নৈরাজ্যের ভিডিও এবং স্থিরচিত্র প্রর্দশন করানো হয়।
Posted ০৯:৪৯ | রবিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain