
| রবিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০১৮ | প্রিন্ট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের এসব হত্যা, আগুন সন্ত্রাস এবং নৈরাজ্যের বিষয় শুধু ঘরের মধ্যে বললেই হবে না। এর ব্যাপক প্রচার দরকার। প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার করে সুন্দর ছক ব্যবহার করে জেলা, উপজেলা ও তৃণমূল পর্যায়েই প্রচার করতে হবে।
রোববার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির উদ্যোগে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রস ও নৈরাজ্যের খণ্ড চিত্র প্রদশর্নী ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রচার ও প্রকশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে ও আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলামের সঞ্চলনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, যারা আগামীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী, তারা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে এখন থেকেই বিএনপি-জামায়াতের অপকর্ম প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে পারেন। এতে আপনাদের (মনোনয়ন প্রত্যাশী) মনোবল প্রমাণ হবে। আপনারা আমাদের কাছ থেকে ভিডিও নিয়ে গিয়ে নিজ নিজ এলাকায় দেখান। এ প্রচার নিয়মিত দেখানো হলে ২০০৮ সালের নির্বাচনে যে বিজয় হয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি এবারও হবে, এবার আরও বড় আকারে হবে।
সেলসম্যান মোশাররফের স্ত্রী লাভলী আক্তার বলেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাসীদের ছোড়া পেট্রল বোমার আঘাতে আমার স্বামীর মুখমণ্ডল পুড়ে যায়, তখন তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। এতে আমার স্বামীর চাকরিও চলে যায়।
আলু ব্যবসায়ী রেজাউল করিম বলেন, সরকার আমাদের দিকে না তাকালে আমরা কেউ বাঁচতাম না। বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের নামে মানুষকে পুড়িয়ে মারার নাম কি রাজনীতি? আমি তো অসহায় মানুষ, আমিতো কোনো রাজনীতি করিনি, কোনো মিছিল-মিটিংয়ে যায়নি। ছোট ব্যবসায়ী। কি আমার অপরাধ ছিল? দেশের প্রতিটা মানুষের কাছে আমি বিচার চাই, এর বিচার আপনারাই করবেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের পাশে না দাঁড়ালে আমাদের পরিবার ছিন্নভিন্ন হয়ে যেত, আমরা বাঁচতাম না। আমার চিকিৎসা হতো না। এর আগে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের ভিডিও এবং স্থির চিত্র প্রর্দশন করানো হয়।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনিবার্হী সদস্য এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
Posted ০৯:৪৪ | রবিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain