| বুধবার, ০৩ মে ২০১৭ | প্রিন্ট
মোঃ মেহেদী হাসান, পুঠিয়া(রাজশাহী) : রাজশাহীর বৃহত্তর বানেশ্বর বাজারে ওজনে কারচুপি, ফড়িয়া ও দালালদের দৌরাত্য বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্যাবসায়ীরা। পুজি হারাতে বসেছেন অনেক তৃণমুল ব্যাবসায়ীরা। ওজনে কারচুপি, ফড়িয়া ও দালালদের দৌরাতে্য কারনে চামড়া, গুড়, বেগুন ও গরুর হাটের মত আমের হাটও অন্য উপজেলায় চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অভিজ্ঞমহল।
ওজনে কাররচুপির অভিযোগে মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর হাটে দাঁড়ী-পাল্লা ও ৪শতাধিক মুরগি জব্দ করেছে পুঠিয়া উপজেলা প্রশাসন। জব্দকৃত মুরগি গুলো উপজেলার বিভিন্ন এতিম খানা ও মাদরাসায় বিতরন করেন।এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোছাঃ নাজমা নাহারেরর নেতৃত্বে ভ্রামমান আদালত পরিচালিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পবা হাইওয়ে ফাঁড়ির সার্জেন্ট মনিরুজ্জামান, এস আই, হাবিবুর রহমান প্রমূখ। ভ্রামমান আদালত পরিচালিত হওয়ার খবর পেয়ে মুরগী ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। আদালত ব্যবসায়ীদের না পেয়ে দাড়ি-পাল্লা ও প্রায় ৪শতাধিক মুরগি জব্দ করেন।আটককৃত মুরগীগুলো বানেশ্বরেরর বালিয়াঘাটি, খুটিপাড়া, নয়াপাড়া, পুঠিয়াসহ বিভিন্ন এতিম খানায় ও মাদরাসায় মুরগি গুলো উপজেলা প্রশাসনের ভ্রমমান আদালত তা বিতরন করেন।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর ওজনের এই বিষয় বেশি লক্ষ্য করা যায় আম ক্রয়করা আড়ৎ গুলোতে। শলার আম(ওজন করার জন্য) দেখিয়ে প্রতি ঝুড়ি থেকে বড়মাপের ৪টা করে আম ব্যধতামূলক ভাবে নেওয়া হয়। ঝুড়ি ওজন ২কেজির স্থলে ৫-৬কেজি করে আম নেওয়া হয়। প্রতি ওজনে(কাটা প্রতি) ১কেজি বাদ দেওয়া হয়। ঝুড়িতে ৫-১০টি ছোট (ক্যাট) আম পাওয়া গেলে প্রতি ঝুড়ি থেকে ১০ কেজি বাদ দেওয়া হয় অথবা অর্ধেক দাম দেওয়া হয়। এছাড়া অনেক আম নষ্ট হিসেবে ধরেও বিনামূল্যে নিয়ে নেয় তারা। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো বি.এস.টি.আই-এর নির্ধারিত বাটকারা ব্যবহার না করে চটের বস্তার ভিতর ইট-পাথর দিয়ে নিজেদের ইচ্ছামত তৈরি বাটকারা দিয়ে আম ওজন দেওয়া হয়। বাটকারা-ওজন তদরকি করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ বিভাগ থাকলেও রহস্যজনক কারণে তা তদারকি করা হয় না।
আম বাগানিরা জানান, অনেক সময় ফড়িয়ারা আম মেপে নিয়ে টাকা পতে ও দেওয়া হবে বলে জানায়। সেই টাকা তুলতেও তাদেরকে অনেক হয়রানি শিকার হতে হয়। তারা বলেন, বানেশ্বর বাজারের আমের আড়ত গুলোতে কোন নীতিমালা ছাড়াই অতিরিক্ত হারে আড়ত খরচ আদায় করা হয়ে থাকে। বেশিরভাগ আড়তে ওজনে কারচুপি, ফড়িয়া ও দালালদের দৌরাতœ্য বাড়ায় বিপাকে পড়েন বাগানীরা। পুজি হারাতে বসেন অনেক তৃণমুল বাগান ব্যাবসায়ীরা। ওজনে কারচুপি, ফড়িয়া ও দালালদের দৌরাতেœ্যর কারনে চামড়া, গুড়, বেগুন ও গরুর হাটের মত আমের হাটও অন্য উপজেলায় চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অভিজ্ঞমহল।
Posted ১৬:২০ | বুধবার, ০৩ মে ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin