
| বুধবার, ০৩ মে ২০১৭ | প্রিন্ট
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘সম্পদ লুটপাটের’ অভিযোগ তুলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘তাদের (আওয়ামী লীগ) পালানোর সময় হয়ে গেছে।’
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি নেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মহান মে দিবস ও ২ মে শ্রমিক দলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের একটি বক্তব্যের সূত্র ধরে খালেদা জিয়া বলেন, ‘একটা দলের সেক্রেটারি জেনারেল যা বলে তা থেকে সবকিছু বুঝে নেওয়া যায়। তিনি বানিয়ে বানিয়ে বলছে না, আর এমনি এমনি তো বলেছেন না। তাই তাদের পালাবার সময় হয়ে গেছে। তারা সম্পদ গুটাতে ব্যস্ত। কাজেই তারা পালাবার জন্য তৈরি হোক, আর আমরা জনগণের জন্য দেশ রক্ষার করার জন্য অধিকার রক্ষায় তৈরি হই।’
বিএনপি নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই জানিয়ে দলের প্রধান বলেন, ‘নির্বাচনে আমরা যেতেও চাই। তবে সে নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। হাসিনার অধীনে এতদিন যতগুলো নির্বাচন দেখেছি, সেগুলো সুষ্ঠু হয়নি।’
দেশের বর্তমান শাসনব্যবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে অনেকেই ‘কিছু একটা করতে’ বিএনপির কাছে অনুরোধ করে জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘অনেকেই পাশ থেকে বলে দেয়, আপনারা কেন বসে আছেন? আপনারা কিছু একটা করেন। আমাদের এই অবস্থা থেকে রক্ষা করেন। কিন্তু কিছু একটা করার সময় হয়নি। সময় হলে গণতন্ত্রের মাধ্যমেই দেশের মানুষের যে অধিকার আমরা ফিরিয়ে আনব।’
‘অধিকার ফিরিয়ে’ আনতে বিএনপি সংগঠিত হচ্ছে জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপিসহ সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন সারা দেশে বিভিন্ন জেলায় সংগঠিত হচ্ছে। মহানগর পুনর্গঠিত হয়েছে।
বিএনপি যাতে আগামী নির্বাচনে না আসতে পারে সেজন্য নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে অত্যাচার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেত্রী।
তিনি বলেন, ‘বারবার বলেছি, এদের (আওয়ামী লীগ) অধীনে কখনই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। যতগুলো নির্বাচন হয়ে গেলো কোনোটাই সুষ্ঠু হয়নি। কুমিল্লা নির্বাচন হয়ে গেলে সেখানে আমরা জিয়ী হতাম ৫০ হাজার ভোটে, সেখানে জিতেছে ১০ হাজার ভোটে। কতো রকম চুরি করা হয়েছে।’
শ্রমিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সকলকে সঙ্গে নিয়ে, দরকার হলে ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করতে হবে। শুধু ঢাকাতে নয় সারা দেশে শ্রমিক দলকে সুসংগঠিত করতে হবে।’
এ সময় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।
অন্যদের মধ্যে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম, শ্রমিক দল নেতা সালাহ উদ্দিন সরকার, আবুল খায়ের খাজা, মো. আবুল হোসেন, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কাজী আমীর খসরু, মহানগর উত্তরের সভাপতি জুলফিকার মতিন, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বাদল, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম রাজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Posted ০৮:২৫ | বুধবার, ০৩ মে ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain