
| শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০১৭ | প্রিন্ট
ঢাকা থেকে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা রুটে নতুন একটি মৈত্রী ট্রেন উদ্বোধন করা হয়েছে। এই ট্রেনের প্রতিটি কামরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। একে নববর্ষের উপহার বলছেন রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক।
বাংলা নববর্ষের দিন শুক্রবার সকালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে এই ট্রেনটি উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী। আট কামরার এই ট্রেনটির চারটি কামরা প্রথম শ্রেণির, আর চারটিতে আছে চেয়ারকোচ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, রেল সচিব ফিরোজ সালাউদ্দিনসহ রেলমন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা ব্রডগেজ বগি ব্যবহার করা হয়েছে এই ট্রেনে। রেল সচিব ফিরোজ সালাউদ্দিন জানান, আট কামরার নতুন এই ট্রেনটিতে ৪৫৬টি আসন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রস্তাব করেছি যদি ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস ঢাকায় সম্পন্ন করা যায় তাহলে যাত্রীদের চারঘণ্টা সময় বাঁচবে। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘হাসিনা ও মোদির নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে। এ সম্পর্ক আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।’
ট্রেনটি উদ্বোধন করে রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ‘ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। নববর্ষের প্রথম দিনে ভারত-বাংলাদেশের সেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হয়েছে।’
২০০৮ সালের পয়লা বৈশাখ প্রথম মৈত্রী ট্রেন চলাচল শুরু করে ঢাকা-কলকাতা রুটে। শুরুতে এই ট্রেনের যাত্রী ছিল খুবই কম। কিন্তু এখন টিকিটের জন্য যাত্রীদের মধ্যে চাহিদা প্রবল।
মৈত্রী ট্রেনের আকর্ষণ যাত্রীদের মধ্যে বেড়ে চলায় ইতিমধ্যেই সপ্তাহে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে সপ্তাহে ছয় দিনই চলছে এই ট্রেন। তিন দিন কলকাতা থেকে ট্রেন ঢাকা যাচ্ছে আর তিনদিন ঢাকা থেকে ছেড়ে কলকাতা আসছে। এর মধ্যে দুদিন বাংলাদেশের রেক দিয়ে ট্রেন চালানো হলেও বাকি চারদিনই ভারতীয় রেক দিয়ে ট্রেন চালানো হচ্ছে। নতুন এই ট্রেনটি চালু হওয়ায় যাত্রীদের চাহিদা মেটানো সহজ হবে বলে আশা করছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
এই ট্রেনটি ছাড়াও খুলনা-কলকাতা রুটে আরও একটি মৈত্রী ট্রেন চালু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে গত ৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে ট্রেনটি উদ্বোধন করেন।
Posted ০৬:৪৮ | শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain