| শনিবার, ০৮ এপ্রিল ২০১৭ | প্রিন্ট
স্বাধীনদেশ অনলাইন : দেশের আলোচিত ব্লগার হত্যাকা-গুলো উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের মুফতি বা শরিয়া বোর্ডের নির্দেশে সংঘটিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটি) প্রধান মনিরুল ইসলাম। শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের মুফতি বোর্ডের হাফেজ মাওলানা মো. মাকসুদুর রহমান ওরফে আবদুল্লাহ নামের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার দিবাগত রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আবদুলালাহকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালের পর যতগুলো ব্লগার হত্যাকা- সংগঠিত হয়েছে তার সব কটি মুফতি বা শরিয়া বোর্ডের নির্দেশে হয়। এই শরিয়া বা মুফতি বোর্ড কোনো হত্যাকা-ের অপারেশনে সরাসরি অংশ নেয় না, কিন্তু তারা এই হত্যার অনুমোদন দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলামের দেয়া তথ্যমতে, ২০০৭ সালে ফরিদাবাদ মাদ্রাসায় ভর্তি হন আবদুল্লাহ। এরপর তিনি ধর্মীয় উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৪ সালে তিনি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আরেক সদস্য আবু নাইমের সঙ্গে থেকে দীক্ষা নিয়ে টিমে যোগদান করেন। পরে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকার একটি বাসায় দেড় মাস জিহাদের বিষয়ে সামরিক ও ধর্মীয় প্রশিক্ষণ নেন।মনিরুল ইসলাম বলেন, ব্লগার অভিজিৎ রায়, নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয়, নাজিমুদ্দিন সামাদ, ওয়াশিকুর রহমান বাবু, অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুল, তারেক রহীম, রণদীপম বসু, ব্লগার জুলহাস মান্নান ও মাহবুবু তনয়- সব কটি হত্যাকা- মুফতি বোর্ডের নির্দেশে হয়।
কাউন্টার টেরোরিজমের প্রধান বলেন, মুফতি বোর্ডে বর্তমানে পাঁচজন সদস্য রয়েছেন। এই বোর্ড পরিচালনা করেন একজন মওলানা ও তার একজন সহযোগী। বোর্ডের আশরাফুল আজম ও আবু নাইম নামের দুজন সদস্য ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানান তিনি।
গ্রেপ্তার হওয়া সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যার টার্গেট কাার জন্য তিন থেকে চারজনকে বাছাই করে একটি তালিকা তৈরি করা হয়। ওই তালিকা মুফতি বোর্ডের সদস্যরা যাচাই করে হত্যার অনুমোদন দেন। বোর্ডের সদস্যরা কখনো হত্যায় অংশ নেয় না। তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন, গোয়েন্দা পুলিশের পূর্ব বিভাগের উপকমিশনার খোন্দকার নুরুন্নবী, জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান এবং গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
Posted ১১:০২ | শনিবার, ০৮ এপ্রিল ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain