
| রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০১৭ | প্রিন্ট
বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ বক্তব্য রাখছিলেন, বরাবরের মতোই পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবিতে হৈ চৈ করছিলেন নেতা-কর্মীরা।
তাদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, রওশনের কোনো কথা আর শোনা যাচ্ছিল না। এমন সময় পাশে বসা এরশাদ আঙুল উঁচিয়ে চুপ থাকতে বলেন নেতা-কর্মীদের। নেতার নির্দেশে মুহূর্তেই থামলেন কর্মীরা।
রোববার দুপুরে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সম্মেলন ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এই ঘটনা ঘটে।
নেতা-কর্মীদের উদ্যত আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে রওশন বলেন, ‘তোমরা কেমন শিক্ষিত ছেলে? বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রকাশ্য কিছু বলা যায় না, এটাও বোঝ না। মামলার বিচার নিয়ে পাবলিক মিটিংয়ে কি কিছু বলা যায়?’
‘আমি না হয় দুই বছর ধরে বিরোধী দলের নেতা আছি। এত বছর কি মামলা ছিল না? তখন তোমরা কার কাছে এভাবে চিৎকার করে মামলার কথা বলেছ? তোমরা শিক্ষিত ছেলে? হৈ চৈ করো কেন? আমি তো তোমাদের কাছে এটা আশা করিনি। কিছু বলার থাকলে বাসায় এস, আমি বলব,’ বলেন রওশন।
বিরোধী নেতা বলেন, ‘আজকে তোমাদের আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখে মনে হলো তোমরাই জাতীয় পার্টির মূল শক্তি। কিন্তু তোমাদের পড়াশোনা করতে হবে। নিজ যোগ্যতায় নেতা হতে হবে। জাতীয় পার্টির হাল ধরতে হবে।’
যুবসংহতির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আলমগীর সিকদার লোটনের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব ফকরুল আহসান শাহজাদার সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, দলের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশউর রহমান রাঙ্গা, জাপা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, মহানগর উত্তর সভাপতি এস এম ফয়সল চিশতী, নূরে হাসনা লিলি চৌধুরী এমপি, সুনীল শুভরায়, ইকবাল হোসেন রাজু, জহিরুল ইসলাম জহির, দিদারুল আলম দিদার, আরিফ খান, সরদার শাহজাহান, মহিলা পার্টির সেক্রেটারি অনন্যা হোসেন মৌসুমী, যুব সংহতির আবু সাইদ স্বপন, মিয়া আলমগীর, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
Posted ০৯:১২ | রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain