
| শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০১৭ | প্রিন্ট
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট ‘ফেয়ার’ হয়নি বলে অভিযোগ করে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এ নির্বাচনের ফলাফল ‘ফেয়ার’ হয়েছে। নির্বাচন পুরোপুরি সুষ্ঠু হলে বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু আরও বেশি ভোটে জিততেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে ১১ হাজার ভোটে হারিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। ভোট চলাকালে বৃহস্পতিবার দলের পক্ষ থেকে একাধিক সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লায় সরকারি দলের তাণ্ডব এবং কেন্দ্র দখল করে সিল মারার অভিযোগ করেছিলেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বিএনপি নেতাদের অনেকেই এখন তাদের ভোটের দিনের অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দিতে হচ্ছে। শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনায় গয়েশ্বরও এই যুক্তি দেন।
গয়েশ্বর বলেন, কুমিল্লায় জনগণ নৌকার ব্যাজ বুকে লাগিয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ধানের শীষে ভোট দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘তবে এ কথা বলতে হবে, যদি ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু হত, তাহলে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ পরাজিত হত।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘ভোটে তাদের প্রার্থীর জয় হলেও নির্বাচনকে আমরা অবাধ বা সুষ্ঠু বলতে পারছি না। নির্বাচনে জয় হলেই ভোট সুষ্ঠু বা অবাধ বলার ‘থিওরি’ থেকেও বেরিয়ে আসা উচিৎ।’ তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ফলাফল ফেয়ার, কিন্তু ইলেকশন আনফেয়ার হয়েছে- এই কথাটা স্বীকার করতে হবে।’
নির্বাচনের ভোট আর ফলাফল নিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সাম্প্রতিক আরেকটি বক্তব্য গণমাধ্যমে আলোচনার খোরাক জুড়িয়েছিল। গত ২২ ডিসেম্বরের নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন খান ৮০ হাজার ভোটে হেরে যাওয়ার পর গয়েশ্বর বলেছিলেন, নির্বাচন ‘ফেয়ার’ হলেও ফলাফল ‘আনফেয়ার’ হয়েছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনেই অন্য একটি আলোচনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, কুমিল্লায় তারা কৌশল করে জিতেছেন। তাদের কর্মীরা বুকে নৌকা মার্কার ব্যাজ পড়ে ধানের শীষে ভোট দিয়েছে। তিনিও দাবি করেন, কুমিল্লায় সুষ্ঠু ভোট হয়নি। সুষ্ঠু হলে তাদের প্রার্থী আরও বড় ব্যবধানে জিততো।
Posted ১৩:৪৪ | শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain