| বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০১৭ | প্রিন্ট
উপহার সমগ্রী রাষ্ট্রীয় কাষাগারে জমা না দেয়ার মামলায় তিন বছরের সাজার বিরুদ্ধে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের করা আপিল রায় ঘোষণার পর্যায় থেকে আবার ঝুলে গেল। ২৫ বছর আগে বিচারিক আদালতে দেয়া দণ্ডের বিরুদ্ধে এরশাদের আপিলের রায় ঘোষণার হওয়ার কথা ছিল আজ বৃহস্পতিবার। কিন্তু রায় না দিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
বিচারপতি মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন খুরশিদ আলম খান। এরশাদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন শেখ সিরাজুল ইসলাম।
১৯৯২ সালে বিচারিক আদালত এরশাদকে এই মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। এর বিরুদ্ধে এরশাদের আপিলের শুনানি শেষ হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। কিন্তু আদেশ আর আসেনি। গত ৩০ নভেম্বর এই মামলাটির দ্বিতীয় বারের মতো আপিল শুনানি শুরু হয়।
দুদকের আইনজীবী বলেন, ‘আজ রায় ঘোষণার জন্য দিন ছিল। তবে আদালত মামলার নথিপত্র দেখে আদালত বলেন, এরশাদের আপিল ছাড়াও সাজা বৃদ্ধিতে সরকারের আরো দুটি আপিল বিচারাধীন রয়েছে। এ অবস্থায় নিম্ন আদালতের সাজার রায় বাতিলের জন্য এরশাদ যে আবেদন করেছে সেটির ওপর রায় ঘোষণা করলে তা যুক্তিসংগত হবে না। এরপর মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি।’
এরশাদের আপিলের আগের শুনানির বিষয়টি নিয়ে এরশাদের আইনজীবী সিরাজুল ইসলামের আছে আজ জানতে চান বিচারপতি মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, ‘১৯৯৪ সালের ২২ নভেম্বর এই মামলার আপিল শুনানি শেষ হয়েছে। রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তখন কেন রায় হয়নি এ বিষয়ে আপনি কি কিছু জানেন?’।
জবাবে এরশাদের আইনজীবী বলেন, ‘আমি ওই সময় এ মামলার আইনজীবী ছিলাম না। ফলে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।’ এরপর আদালত সিরাজুল ইসলামকে শুনানি শুরুর নির্দেশ দেন।
১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এরশাদের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপপরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সেনানিবাস থানায় মামলা করেন। এতে এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।
ওই মামলায় ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত এরশাদের তিন বছরের সাজা দেয়। একই সঙ্গে ওই অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে এরশাদ ১৯৯২ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১২ সালের ২৬ জুন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে এইচ এম এরশাদের আপিলে পক্ষভুক্ত হয় দুদক।
Posted ১২:২২ | বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain