| বুধবার, ১৫ মার্চ ২০১৭ | প্রিন্ট
ঢাকা, স্বাধীনদেশ অনলাইন : নাসরিনের সাথে বিবাহের বিষয়টি স্বীকার করেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানির। তিনি নাসরিনকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছেন। আদালতে এমন দাবি করে সানির জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী জুয়েল আহমেদ। সানির জামিনে আমার কোন আপত্তি নেই, তার সাথে সংসার করবো। সানি ও তার পরিবার আমাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছেন বলে বুধবার সাইবার ট্রাইব্যুনালে সানির জামিন শুনানিতে আদালতে এসব কথা বলেন নাসরিন সুলতানা।
এ সময় বিচারক নাসরিনকে বলেন, জামিনের পর ও (সানি) কিন্তু সংসার করবে না। ভেবে বলছেন, জামিনে আপত্তি না থাকলে পিপির মাধ্যমে লিখিত দেন। নাসরিন লিখিত দিলে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: সাইফুল ইসলাম ৫০ হাজার টাকা বন্ডে সানির জামিনের আদেশ দেন। এখন সানির মুক্তি পেতে আর বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী এম জুয়েল আহমেদ।
গত ৯ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় এক মাসের জামিন পান আরাফাত সানি। তবে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় কারাগারে থাকায় কারামুক্ত হতে পারেননি আরাফাত সানি। বুধবার এ মামলায় জামিন পাওয়ায় সানির কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানান তার আইনজীবী। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় আরাফাত সানির জামিন নাকচ করে দেন একই আদালত।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনে প্রথম মামলা
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর আরাফাত সানির সঙ্গে নাসরিন সুলতানার বিয়ে হয়। গত বছরের ১২ জুন আরাফাত সানি দুজনের কিছু ব্যক্তিগত ছবি এবং ওই তরুণীর কিছু আপত্তিকর ছবি ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে পাঠান। ছবি পাঠিয়ে আরাফাত সানি ওই তরুণীকে হুমকি দেন। ২৫ নভেম্বর ওই তরুণীকে ফের আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে হুমকি দেন আরাফাত সানি। এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে ৫ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করেন।
যৌতুকের দ্বিতীয় মামলা
২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করার অভিযোগে ২৩ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে আরাফাত সানির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলা করেন নাসরিন সুলতানা। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ৫ এপ্রিলের মধ্যে সানিকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তৃতীয় মামলা
গত ১ ফেব্রুয়ারি ২০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগে আরাফাত সানি ও তার মায়ের বিরুদ্ধে ঢাকার ৪ নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তৃতীয় মামলা করেন নাসরিন। আদালত মামলাটি মোহাম্মদপুর থানাকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন। ১২ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ৯ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এ মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
Posted ১২:৪৮ | বুধবার, ১৫ মার্চ ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin