
| বুধবার, ১৫ মার্চ ২০১৭ | প্রিন্ট
৩০ মার্চের ভোটকে সামনে রেখে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা পেয়েছেন আঞ্জুম সুলতানা সীমা, বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ পেয়েছেন সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। আর জাসদের একাংশের (জেএসডি) প্রার্থী শিরিন আক্তার পেয়েছেন তালা।
বুধবার বেলা ১১টায় কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মিলনায়তন থেকে রিটার্নিং কর্মকর্থা তিন মেয়র প্রার্থী, সাধারণ কাউন্সিল ও মহিলা সংরক্ষিত প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্ধ করেন।
প্রতীক পেয়েই নৌকার প্রার্থী সীমা দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বৈঠক করেন। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী সাক্কু দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নগরীর বিষ্ণুপুর এলাকায় প্রচারে বের হন।
২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি এই সিটি করপোরেশনের প্রথম ভোট হয়েছিল নির্দলীয়ভাবে। দ্বিতীয় দফা ভোট হচ্ছে দলীয় প্রতীকে। তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এসেছে জাতীয় নির্বাচনের আমেজ।
প্রার্থিতা তাদের প্রার্থিতা জমা দেয়ার পর থেকেই নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়েছে এলাকায়। তবে প্রতীক বরাদ্দ না পাওয়ায় এতদিন আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামতে পারেনি কোনোপক্ষ। এবার সেই সমস্যা নেই। আর এলাকায় নৌকা আর ধানের শীষের পক্ষে স্লোগান শুরু হয়ে গেছে এরই মধ্যে।
এখন পর্যন্ত নিরুত্তাপ এবং অভিযোগহীন এই নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন বিএনপির প্রার্থী সাক্কু। তিনি বলেন, ‘সরকারদলীয় প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার আগেই মিছিল, সমাবেশ করে জনগণের কাছে ভোট চাইছেন। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
তবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সীমা। তিনি বলেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কায় আগে থেকেই অভিযোগ কওে রাখছেন। এসব করে ভোটারদের মন পাওয়া যাবে না বলেও জানিয়ে দেন সীমা।
রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন ম-লের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান। আশা করি সব প্রার্থী আমাদের দেয়া নিয়ম কানুনগুলো মেনে চলবেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন করবেন না।’ তিনি বলেন, ‘যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি এবং সতর্কতা নোটিশ দিয়েছি।
নির্বাচনী প্রচার চলার সময় পুলিশ, জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কর্মকর্তা সব সময় মাঠে থাকবেন জানিয়ে অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্তের মাধ্যমে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
আগামী ৩০ মার্চ কুমিল্লা মহানগরের দুই লাখ সাত হাজার ৫৬৬ ভোটা নির্বাচিত করবে তাদের জনপ্রতিনিধি। এদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ দুই হাজার ৪৪৭ জন এবং নারী এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৬৬ জন। ৬৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে ৪২১টি ভোটকক্ষে।
২০১২ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচন ভোট বর্জন করেছিল বিএনপি। তবে দল থেকে পদত্যাগ করে নাগরিক কমিটির প্রার্থী হিসেবে লড়েন মনিরুল হক সাক্কু। আর ওই বছরের ৫ জানুয়ারির ভোটে তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত আফজল খানকে সহজেই হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। এবার আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে আফজল খানের মেয়েকে।
Posted ১১:০৭ | বুধবার, ১৫ মার্চ ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain