
| রবিবার, ১২ মার্চ ২০১৭ | প্রিন্ট
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সকল দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল লক্ষ্য। তবে বাঙালি কখনো অন্যায় ও অবিচারকে মেনে নেয়নি। আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। কিন্তু আমাদের ওপর কোনো ধরনের হামলা হলে তার সমুচিত জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
রবিবার চট্টগ্রাম নৌ জেটিতে দু’টি সাবমেরিন ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’ আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবহরে কমিশনিং করেন তিনি। এ সময় তিনি সাবমেরিন দু’টির কমিশনিং ফরমান অধিনায়কদের হাতে তুলে দেন এবং নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে নামফলক উন্মোচন করেন।
বাংলাদেশের সাবমেরিন যুগে প্রবেশের ঘটনাকে ইতিহাসের একটি স্মরণীয় মুহূর্ত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও আমাদের নৌবাহিনীর সাবমেরিন ছিল না। অত্যাধুনিক এই সাবমেরিন যুদ্ধ জাহাজ যুক্ত হয়ে আমাদের নৌবাহিনীর সক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়েছে। আক্ষরিকভাবেই এখন বাংলাদেশ নৌবাহিনী ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে যা ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। তিনি বলেন, ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী গঠনের লক্ষ্যে প্রথম ধাপ ছিল নৌবাহিনীর জন্য আকাশসীমা উন্মোচন। বর্তমান সরকারের আমলে হেলিকপ্টার ও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট নিয়ে গঠিত হয় নেভাল এভিয়েশন। শিগগিরই এতে আরো মেরিটাইম এয়ারক্রাফট ও অত্যাধুনিক সমরক্ষমতা সম্পন্ন হেলিকপ্টার সংযোজিত হবে। এর ফলে বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্বল্প সময়ে বিশাল সমুদ্র এলাকায় টহল এবং পর্যবেক্ষণ সক্ষমতা অর্জন করেছে যা সমুদ্রসীমা ও সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে সাবমেরিন অন্তর্ভুক্তির ফলে দেশের জলসীমায় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সার্বিক সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি তেল, গ্যাস অনুসন্ধানের ব্লকসমূহে অধিকতর নিরাপত্তাসহ সার্বিকভাবে দেশের ব্লু ইকনমি উন্নয়নে এই সাবমেরিন দু’টি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য দু’টি সাবমেরিনের আধুনিকায়ন, ক্রু-দের প্রশিক্ষণ ও কারিগরী প্রশিক্ষণের জন্য চীন সরকার, নৌবাহিনী ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, প্রথমবারের মত বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সংযোজিত হলো দীর্ঘ প্রতিক্ষীত আধুনিক দু’টি সাবমেরিন ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল।
Posted ১০:১৮ | রবিবার, ১২ মার্চ ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain