
| শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০১৭ | প্রিন্ট
আজ জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। এ উপলক্ষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দুর্যোগ মোকাবেলা যন্ত্রপাতির সাত দিনব্যাপী এক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
এ বছর দিবসটি পালনের অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে দেশব্যাপী আলোচনা সভা, পোস্টার স্থাপন, লিফলেট বিতরণ, প্রিন্ট মিডিয়ায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে টকশো, সড়ক দ্বীপ সাজ-সজ্জা, র্যালি, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড মহড়া ইত্যাদি।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগের প্রস্তুতি সারাক্ষণ, আনবে টেকসই উন্নয়ন।’
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া দিবসটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ্ কামাল বক্তৃতা করেন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে মার্চ মাস থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ হয়ে থাকে উল্লেখ করে মন্ত্রী মায়া বলেন, ইতিমধ্যে দেশে ঘূর্ণিঝড়, কালবৈশাখী ও টর্নেডো শুরু হয়ে গেছে এবং ঘটবে বজ্রপাত ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও।
এসব ক্ষেত্রে দুর্যোগ পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব উল্লেখ করে তিনি দুর্যোগ মোকাবেলার আগাম প্রস্তুতির জন্য ১০৯০ নম্বরে মোবাইল করে দেশবাসীকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে দিনের কর্মসূচি ঠিক করার পরামর্শ দেন।
যেকোনো সময় যেকোনো দুর্যোগ হানা দিতে পারে সবাইকে এ কথা স্মরণে রাখার পরামর্শ দিয়ে মায়া বলেন, তবে যেকোনো অবস্থায় দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি থাকলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব। আর এ প্রস্তুতির লক্ষ্যেই সরকার বিভিন্ন কৌশল ও যন্ত্রপাতির সমন্বয় করছে। এর মধ্যে তাৎক্ষণিক প্রস্তুতি, স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী প্রস্তুতি, প্রস্তুতির পরিকল্পনা, জনবল ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা সবই সরকারের চিন্তায় রয়েছে।
গত বছরের বন্যার আগাম প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব হয়েছিল।
বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম কোনো সর্তক বার্তার সুযোগ নেই, তবে বিশেষজ্ঞগণের অভিমতের ভিত্তিতে দেশব্যাপি ১০ লাখ তাল গাছ লাগানোর প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড মোকাবেলার কৌশল হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে জনসচেতনতার পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, শপিংমল ও অফিস-আদালতে ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডের মহড়া দেয়া অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারের জন্য ২৫০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন বিভাগে সরবরাহ করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও ভূমিকম্পসহ নানা দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকার উপকূলীয় ১০ এলাকাসহ বন্যা প্রবণ জেলাগুলোয় থাকা ১৯৯টি মুজিব কিল্লা ও ১১৭টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি আরও দুইশটি কিল্লা ও ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে মায়া জানান।
Posted ০৫:৫৪ | শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain