
| বৃহস্পতিবার, ০৯ মার্চ ২০১৭ | প্রিন্ট
গাইবান্ধা এবং সুনামগঞ্জে দুটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থার ক্ষেত্রে তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ যেন অকারণে হয়রানির শিকার না হন সে দিনে লক্ষ্য রাখবে নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদেরকে এ কথা বলেন সিইসি। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, সুনামগঞ্জের দিরাই-শাল্লা এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে এই বৈঠক করেন সিইসি।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যায় শূন্য হওয়া আসনটিতে ভোট হবে আগামী ২২ মার্চ। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি। আর প্রয়াত নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে ফাঁকা হওয়ায় সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসনে ভোট হবে ৩০ মার্চ। সেখানে এখনও প্রার্থিতা চূড়ান্ত হয়নি। একই দিনে ভোট হবে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে।
এই তিন নির্বাচনী এলাকার মধ্যে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে কুমিল্লায়। কারণ, দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি অন্য দুটি এলাকায় প্রার্থী দেয়নি।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেয়া নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার কে এম নুরুল হুদার প্রতি আস্থা না থাকার কথা জানিয়েছে বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন, সিইসি সরকারের অনুগত এবং সরকারের স্বার্থ রক্ষার জন্যই তাকে বসানো হয়েছে।
তবে দায়িত্ব নেয়ার আগে থেকেই নতুন নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, কোনো দলের প্রতি তার রাগ বা অনুরাগ নেই। নিরপেক্ষভাবেই তিনি কাজ করবেন। আর এই তিনটি নির্বাচনকে তিনি দেখছেন তাদের নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতা প্রমাণের সুযোগ হিসেবে।
সিইসি বলেন, ‘আজকের বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে আমাদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন। যারা এখানে কর্মকর্তারা এসেছেন তারা বলেছেন এই নির্বাচন কমিশনের উপরে যেনো আস্থার একটা ক্ষেত্র তৈরি হয় তা এই নির্বাচন থেকে বেরিয়ে আসবে।’
সিইসি বলেন, ‘আমাদের দেশে একসঙ্গে তিনশ আসনের নির্বাচনও সুষ্ঠু হওয়ার নজির রয়েছে। তাই দুই-তিনটি এলাকায় নির্বাচনে আশঙ্কার কিছু নেই। ভোটাররা যাতে নির্বঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে, ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি যেতে পারে এবং বাড়িতে গিয়ে নিরাপদে থাকতে পারেন বৈঠকে এ বিষয়ে কথা হয়েছে।’
নুরুল হুদা বলেন, ‘ভোটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ যারা দায়িত্ব পালন করবেন, তারা কোনো অনিয়ম করবেন না। আর করলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, যদি কারো নামে আগে থেকে কোনো মামলা না থাকে, তাহলে নতুন করে কাউকে হয়রানী করা হবে না।
বৈঠকে জঙ্গি হামলা বা নাশকতার বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কথ হয়েছে। বিশেষ করে এ বিষয়ে আমরা সুন্দরগঞ্জ নিয়ে বেশি সতর্ক থাকবো।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনে আপাতত সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। তবে তারা সব সময় প্রস্তুত থাকবেন। প্রয়োজন হলে তাদেরকে তাৎক্ষণিক নামানো হবে।’
বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Posted ০৯:০১ | বৃহস্পতিবার, ০৯ মার্চ ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain