
| বুধবার, ০১ মার্চ ২০১৭ | প্রিন্ট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে দেশকে একটি শিক্ষিত জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে এজন্য তিনি আনন্দিত বলেও জানিয়েছেন।
বুধবার সকালে গণভবনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাবৃত্তির টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিতরণ কর্মসূচি রুপালী ব্যাংকের ‘শিওর ক্যাশ’ কর্মসূচি উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে রুপালী ব্যাংকের ‘শিওর ক্যাশে’র সাহায্যে মোবাইল ব্যাংকিং দ্বারা প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা বিতরণ এই কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান স্বাগত বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসির চৌধুরী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
অনুষ্ঠানে মোবাইলে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণের ওপর একটি ভিডিও ক্লিপিংস পরিবেশন করা হয়।
মন্ত্রী পরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং পদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী ট্যাবের সুইচ চেপে এই কার্যক্রম উদ্বোধনের সঙ্গে সারাদেশের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি এবং ৬ষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত দুই কোটি ৩০ লাখ মায়েদের হাতে উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে যায়।
‘মায়ের হাসি’ নামক এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬০০ কোটি টাকা। প্রতি মাসে এক কোটি ২০ লাখ মায়ের কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এই নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পৌঁছে যাবে এবং মায়েরা শিওর ক্যাশের এজেন্টের মাধ্যমে এই টাকা ক্যাশ করে নিতে পারবেন।
কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মায়েদের যাদের হাতে মোবাইল ফোন নাই, তাদের ২০ লাখ সিম এবং ২০ টাকা ফ্রি টাক টাইম দেয়ার চুক্তি করেছে ‘টেলিটক’। কাজেই আমরা তাদের হাতে ও মোবাইল ফোন পৌঁছে দিচ্ছি। অর্থাৎ এখন সবার হাতেই মোবাইল ফোন এবং এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টাকা চলে যাচ্ছে। টাকা তোলার জন্য কোনো ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না, দূরে যেতে হচ্ছে না। ঘরে বসেই টাকার খবরটা পেয়ে যাচ্ছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এই টাকার যেন অপব্যবহার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। কাজেই আমি সত্যই আনন্দিত যে, ডিজিটাল বাংলাদেশ আজকে বাস্তব। এর সুফলটা আজ গ্রামের মানুষ পাচ্ছে, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ পাচ্ছে। কাজেই আমি মনেকরি সেটাই সবথেকে বড় অর্জন। ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইনে এক কোটি ২০ লাখ মায়েদের কাছে আজ উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আর একটা আবেদন করবো- অভিভাবকদের প্রতি নিজেদের ছেলেমেয়েরা যেন মন দিয়ে লেখাপড়া করে সেদিকে আপনারা যেমন খেয়াল রাখবেন তেমনি ছেলে-মেয়ে যেন বিপথে না যায়, ছেলেবেলা থেকেই সেভাবে তাদের গড়ে তুলবেন। তারা যেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারে, দেশকে ভালোবাসতে পারে, মানুষের জন্য তাদের মানসিকতা যেন এমনভাবে গড়ে ওঠে যে দেশটা নিজের সেই বোধ যেন গড়ে ওঠে। যাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভবিষ্যতে এদেশ গড়ে ওঠে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়তে পারি।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, রংপুরের পীরগঞ্জ এবং দিনাজপুরের পার্বতীপুরের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে সরাসরি যুক্ত থেকে মতবিনিময় করেন।
Posted ০৮:৩২ | বুধবার, ০১ মার্চ ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain