| মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জগঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে ১৪ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার মামলাটিতে চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য তার পক্ষে সময়ের আবেদন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এবং জয়নুল আবেদীন মেজবা । শুনানি শেষে ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ মো. আমিনুল ইসলাম সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে চার্জশুনানির তারিখ ১৪ মার্চ ঠিক করেন।
গত বছরের ১০ আগষ্ট এই মামলায় হাজিরা দেন খালেদা জিয়া। এরআগে মামলাটিতে ২০১৫ সালের ৩১ নভেম্বর বিচারিক আদালতে হাইকোটের নির্দেশ অনুযায়ী আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থনা করলে আদালত খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন ।
চার্জশিটের বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রীট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নি¤œ আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারী করেন। গত বছর ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল ডিচার্জ করে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।
উল্লেখ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়। ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলাটি তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
মামলাটিতে খালেদা জিয়া ছাড়াও আরো ১০ জন আসামি রয়েছেন। এরা হলেন- চার দলীয় জোট সরকারের আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একে এম মোশাররফ হোসেন, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম) এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
Posted ০৯:৫১ | মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain