ঢাকা আইনজীবী সমিতির (বার) ২০১৭-১৮ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়েছে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল। ২৭টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে বিজয়ী হয়েছেন নীল প্যানেলের আইনজীবীরা
বুধ ও বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনের ফল শুক্রবার শেষরাতে ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোন্দকার আবদুল মান্নান। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ১৯ জন এবং ১৮১ জন সদস্য কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
জয়লাভ করা ২১টি পদের মধ্যে নয়টি সম্পাদকীয় ও ১২টি সদস্য পদ পেয়েছেন বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। অপরদিকে কোষাধ্যক্ষসহ ছয়টি পদ পেয়েছেন আওয়ামী সমর্থিত সাদা প্যানেলের আইনজীবীরা। এদের মধ্যে তিনটি সম্পাদকীয় ও তিনটি সদস্য পেয়েছেন তারা। নির্বাচনে মোট ১৬ হাজার ১৯৭ জন ভোটারের মধ্যে ৮৯১০ জন আইনজীবী তাদের ভোট দেন।
বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলে নয়টি সম্পাদকীয় পদে বিজয়ীরা হলেন- সভাপতি খোরশেদ আলম, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম খান বাচ্চু, সিনিয়র সহ-সভাপতি রুহুল আমিন, সহ-সভাপতি কাজী মো. আব্দুল বারিক, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. সারয়ার কায়সার (রাহাত), সহ-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, লাইব্রেরি সম্পাদক আবুল কালাম আযাদ, দপ্তর সম্পাদক আফানুর রহমান (রুবেল) এবং ক্রীড়া (খেলাধুলা) সম্পাদক জহিরুল ইসলাম (কাইয়ুম)।
এই প্যানেল থেকে বিজয়ী ১২ সদস্য হলেন- আরিফ হোসাইন তালুকদার, আনোয়ার পারভেজ কাঞ্চন, মো. শহিদুল্লাহ, শওকত উল্লাহ, আবুল কাশেম, মোস্তফা সারওয়ার মুরাদ, মোস্তরী আক্তার নুপুর, মিনারা বেগম, পান্না চৌধুরী, সৈয়দ মোহাম্মাদ আমিনুল হোসাইন পান্নু এবং তামান্না খানম এরিন।
অপরদিকে সাদা প্যানেলের তিন সম্পাদকীয় পদে বিজয়ীরা হলেন- কোষাধ্যক্ষ হাসিবুর রহমান দিদার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক প্রহলাদ চন্দ্র সাহা পলাশ। এই প্যানেলের তিন সদস্য হলেন- মাহমুদুল হাসান অমি, আল-আমিন সরকার এবং ওয়ায়েস আহমেদ কায়েস।
উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ মেয়াদের নির্বাচনে ২৭টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে জয়ী হয়েছিল আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীরা। অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত প্যানেল পেয়েছিলেন ছয়টি পদ। এবারের নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিতরা ২১টি এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা পেয়েছে ছয়টি পদ।
