| রবিবার, ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় পেল সরকার। এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গেজেট প্রকাশের জন্য আরও এক মাস সময় চেয়ে আবেদন করলে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই দিন ঠিক করেন।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর ‘রাষ্ট্রপতিকে ভুল বোঝানো হয়েছে’ উল্লেখ করে অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে আজ ১৫ই জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন সর্বোচ্চ আদালত।
অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ না হওয়ায় আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিবকে গত ১২ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হতে বলেছিলেন আপিল বিভাগ। সেদিন ওই দুই সচিব আদালতে হাজির হন।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য পৃথক আচরণ বিধিমালা, শৃঙ্খলা বিধিমালা ও বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা, ২০০৭ সংশোধনকল্পে সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাবিত খসড়া গেজেটে প্রকাশ করার প্রয়োজনীয়তা নেই মর্মে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মোশতাক আহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গত ১২ ডিসেম্বর এই তথ্য জানানো হয়। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালা প্রণয়ন বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ওই চিঠি ওই দিন সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়।
বিষয়টি প্রসঙ্গে ১২ ডিসেম্বর আদালত বলেন, এটি ভুল বোঝাবুঝি। আদালত মাসদার হোসেন মামলার রায় দুই বার রিভিউ করেছেন। দেশে সংবিধান আছে, বিচার বিভাগেরও সংবিধান আছে। একটি প্রজ্ঞাপন করে দিলেই হবে। সরকারের কিছু হবে না। সরকার মাসদার হোসেন মামলার রায় মেনে নিয়েছে। রায়ের ৮০ ভাগ কার্যকর হয়েছে। ভুল ফাইল পাঠানো হয়েছে।
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।
Posted ০৯:২৫ | রবিবার, ১৫ জানুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain