
| মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
জেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিতদের শপথ অনুষ্ঠান আগামী বুধবার। ইতোমধ্যে কিছু গেজেট প্রস্তুত হয়েছে। বাকিগুলো মঙ্গলবারের মধ্যে হওয়ার কথা। তবে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই ডজনের বেশি অনিয়মের অভিযোগ জমা পড়েছে।
সেগুলোর যথাযথ তদন্ত শেষ হওযার আগেই গেজেট প্রকাশ করা হচ্ছে বলে সংশয় অভিযোগকারীদের।
ইসির উপ-সচিব ফরহাদ আহম্মদ খান বলেন, যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে সেগুলো তদন্তের জন্য আলাদভাবে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত না করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে এটা সঠিক নয়।
গত ২৮ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো ৬১ জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের ১০ দিনের মধ্যেই গেজেট প্রস্তুত করেছে ইসি।
বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে বিজয়ী প্রার্থী এফএম ফজলুর হকের বিরুদ্ধে হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী এসএম মাসুদ রানা নির্বাচনের ৫ দিনের মাথায় ইসিতে অভিযোগ দাখিল করেন।
এতে বলা হয়, ফজলুল হক তার নামে থাকা মামলার বিষয়টি হলফনামায় উল্লেখ করেননি। এটি জেলা পরিষদ নির্বাচন-২০১৬ এর পরিপত্র-১ এর ৮ নং ও ১০ নং দফার ৩ ধারার ২ ও ৩ ক্রমিকের পরিপন্থি।
অভিযোগকারী মাসুদ রানা বলেন, অভিযোগের স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণাদি আমি ইসিতে দাখিল করেছি। আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে ইসি বিষয়টির গুরুত্বসহকারে আমলে নেবেন। তবে গেজেট প্রকাশের কথা জেনে তিনি বলেন, তিন দিন হলো অভিযোগ দিলাম। এর মধ্যেই কীভাবে তদন্ত শেষ হয়!
এদিকে, ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে সরকারি দল সমর্থিত সৈয়দ এ কে এম এমদাদুল ইসিতে অভিযোগ দাখিল করেছেন। তিনি অভিযোগে বলেন, জেলার ২ নং ওয়ার্ড ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বলপ্রয়োগ করে তার নির্বাচনী এজেন্টকে আটকে রাখা হয়েছে। তাকে ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী গোলাম সামদানী আহত হয়।
এই ওয়ার্ডের আরেক সদস্য প্রার্থী মো. আলমগীর কবিরের করা অভিযোগে বলা হয়, ভোটগ্রহণ ও গণনায় অনিয়ম হয়েছে। তিনি বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইসিতে অভিযোগ দাখিল করেন। ইসিতে এমন প্রায় ৩০টি অভিযোগ এসে জমা পড়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু এসব তদন্তে যথেষ্ট সময় প্রয়োজন বলে জানান ইসি কর্মকর্তরা।
তারা বলেন, নির্বাচনের পর সাধারণত ৮-১০ দিন যাবৎ অভিযোগ আসতে তাকে। এগুলো তদন্ত করতে সময়রে প্রয়োজন। সেই সময় তো দিতে হবে।
১১ জানুয়ারি বুধবার জেলা পরিষদের নির্বাচত চেয়ারম্যানদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশে প্রথমবারের মতো পার্বত্য তিন জেলা বাদে ৬১ জেলায় নির্দলীয় জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ভোটার ছিলেন স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা।
Posted ০৮:৩০ | মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain