
| রবিবার, ০৮ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে অবৈধ দখলদারদেরকে উচ্ছেদে আবারও দৃঢ় সংকল্পের কথা জানালেন মেয়র আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, ‘যত বড়লোক বা মাস্তান হক, সিটি করপোরেশনকে আটকায় রাখাতে পারবে না। প্রয়োজনে কোর্টে ফেইস করা হবে। কাউকে এক ইঞ্চি জায়গায় দখলে রাখতে দেয়া হবে না।’
রবিবার রাজধানীর তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড মসজিদ মার্কেটের পাশে পাবলিক টয়লেট উদ্বোধন করে এ কথা বলেন মেয়র আনিসুল।
ওয়াটার এইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় এবং এইচ এম ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এই টয়লেটটি কেবল পুরুষদের জন্য। ছয়টি কক্ষের মধ্যে একটি থাকছে প্রতিবন্ধীদের জন্য। এতে আছে চারটি গোসল খানাও। এখানে ১৫ টি লকারের ব্যবস্থাও আছে। প্রবেশ পথের বাইরের দিকে সিসি ক্যামেরায় সবার চলাচলে নজরদারি রাখা হবে।
মেয়র জানান, তেজগাঁওয়ের তিনটিসহ এখন পর্যন্ত আধুনিক ১০টি পাবলিক টয়লেট করা হয়েছে। ঢাকায় এ ধরনের মোট ১০০টি পাবলিক টয়লেট করার পরিকল্পনা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, জায়গার সংকটের কারণে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন আটকে যাচ্ছে।
তেজগাঁও-ফার্মগেট সড়ক সোজা করা হবে
আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই তেজগাঁও থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত সড়ক আরও উন্নয়নের ঘোষণাও দেন মেয়র। জানান, রেলগেইটটা এখন যেখানে আছে সেটি সরিয়ে রাস্তাটা সোজা করে দিতে চান তিনি। এ জন্য রেলওয়ের সঙ্গে কথা হচ্ছে। এক বছরের মধ্যে তেঁজগাওয়ের গলির সব সড়ক সংস্কারের কথাও জানান তিনি।
মেয়র বলেন, ‘রাস্তাটি সোজা করে দিলে হয়তো আরো সুবিধা হবে। তিনি বলেন, এখানকার রাস্তাটি আরো বড় করা এবং ফুটপাতগুলোকে সুন্দর করার পরিল্পনা আমাদের আছে।
এক ইঞ্চি জায়গাও দখলে রাখা যাবে না
মেয়র আনিসুল দায়িত্ব নেয়ার পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় সরকারের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমি অবৈধ দখল থেকে উদ্ধার করেছেন। তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডের জায়গা এর অন্যতম। মূল সড়কে অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ হওয়ার পর সাতরাস্তা থেকে ফার্মগেট ও কারওয়ানবাজারের যোগাযোগ অনেক সহজ হয়েছে।
তেজগাঁওয়ের অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদের বিষয়ে মেয়র বলেন, ‘গত বছর এই এখানে একটা যুদ্ধ-ক্ষেত্র ছিল, আর এটা করেছে কিছু স্বার্থবাদী লোক। আপনারাই বলছেন রাস্তাটি এখন অনেক সুন্দর এবং কিছুটা শৃঙ্খলা এসেছে। আপনারা এস সুবিধাও পাচ্ছেন। তারপরও আমরা ফুটপাত দখল করা দোকান বা রাতের বেলায় কিছু ট্রাক এখানে দাঁড় করিয়ে রাখতে দেখি। আপনারা যদি এরকম করেন তবে আপনাদের সাথে আমাদের শুধু শুধু ঝগড়া হবে। স্বার্থ লাভ করবে একজন আর বদনাম হবে আপনাদের সবার।’
মেয়র বলেন, ‘আপনি যেই হোন, সিটি করপোরেশনের এক ইঞ্চি জায়গাও আটকে রাখতে পারবেন না। যারা মনে করেন আমরা না জানি কি হয়ে গেলাম- তাদের দিন আর নাই। যে কোর্টেই যান যেখানেই যান, আমরা সব ফেইস করব।’
তেগজাঁও থেকে ট্রাকস্ট্যান্ড শহরের বাইরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে দেয়া কথা রাখতে কাজ চলছে বলেও জানান মেয়র। বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় জমি দেখছি। এটি একটি সময়ের ব্যাপার।
Posted ০৯:৫৭ | রবিবার, ০৮ জানুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain