
| শনিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
গুলশান হামলার তদন্তে আমাদের আর কোনও তথ্যের দরকার নেই এখন চার্জশিট তৈরি করা হবে। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট বিল্ডিংয়ে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অব টেরোরিজম ইন দ্যা ওয়েব অব ইসলামিক স্টেট শীর্ষক কনফারেন্সে আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে সব ধরনের তথ্য আছে। মারজান ও সাদ্দাম যা যা ঘটিয়েছে, যে ভাবে এসেছে পুরো তথ্যই আমাদের কাছে আছে। কাজেই আমাদের মামলার তদন্তে আর কোনও তথ্যের দরকার নেই। যথেষ্ট তথ্য পেয়েছি, এখন মামলার চার্জশিট প্রস্তুত করা হবে। বাকি দু একজন যারা আছে তাদেরকে আমরা খুঁজছি।
কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত মারজান ও সাদ্দাম সম্পর্কে আইজিপি বলেন, গুলশান হামলার ঘটনায় যে কয়জন মাস্টারমাইন্ড ছিল তাদের মধ্যে মারজান অন্যতম। সে অত্যন্ত ডেয়ারিং (দুর্ধর্ষ) প্রকৃতির জঙ্গি।সে ওই হামলার অপারেশন কমান্ডার ছিল। নর্থবেঙ্গল ও ঢাকার আশেপাশে যতগুলো জঙ্গি হামলা হয়েছে সবগুলোর সঙ্গে সে সম্পৃক্ত ছিল। আমরা তাকে খুঁজছিলাম। পরশু রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারলাম সে অমুক রাস্তা দিয়ে ঢাকায় ঢুকবে। আমাদের সিটি টিম সেখানে গিয়েছিল এবং তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে মারজান ও সাদ্দাম নিহত হয়।
সাদ্দাম সম্পর্কে আইজিপি বলেন, সে নর্থবেঙ্গলের (উত্তরবঙ্গ) একজন নটরিয়াস জঙ্গি। নর্থবেঙ্গলে জঙ্গিরা যতগুলো ঘটনা ঘটিয়েছে তার সঙ্গে সে ছিল। তার বিরুদ্ধে ৫টি মামলার চার্জশিট আছে এবং ৫ মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। তারা নিহতের পর গুলশান ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি অবশ্যই হয়েছে।
ভবিষ্যতেও জঙ্গিবিরোধী অভিযান চলবে কিনা জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ভবিষ্যতে অভিযান আরও জোরদার করা হবে ।যেখানে তথ্য পাবো সেখানেই অভিযান চালাবো।
এসময় গুলশান হামলার সঙ্গে জড়িতদের অধিকাংশই নিহত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কারাগারে জঙ্গিদের নতুন রিক্রুট ও অনুসারী তৈরির বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, জঙ্গিরা হাইলি মোটিভেটেড।সহজে তারা ডি-র্যাডিক্যালাইজড হয় না।তারা যেখানে যায় সেখানেই তাদের অনুসারী তৈরি করে বা তৈরির চেষ্টা করে। সেজন্য আমি ফিল করছি, কারা কর্তৃপক্ষ বা সরকারের যেকোনও মাধ্যমে ডি-র্যাডিক্যালাইজেশন সেন্টার বা পুনর্বাসন কেন্দ্র জাতীয় কিছু একটা তৈরি করা দরকার।
জঙ্গি অর্থায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এদের টাকা বিভিন্ন দিক থেকে আসে। সুনির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তিকে মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে পাওয়া যায়নি। ডাকাতি ছিনতাই করেও জঙ্গিরা টাকা সংগ্রহ করে। মানি লন্ডারিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন হাত হয়ে তাদের কাছে টাকা আছে।
Posted ১০:০৫ | শনিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain