
| শনিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
ক্ষমতা, দক্ষতা, প্রজ্ঞতা ও সৃজনশীলতার দিক থেকে শেখ হাসিনা বিশ্বে অতুলনীয় বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি বলেন, জার্মানির চ্যান্সেলর এঙ্গেলালা মের্কেল পৃথিবীর দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি হলেও তার চেয়েও এগিয়ে শেখ হাসিনা।
সকালে রাজধানীর গুলিস্তানে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন হানিফ।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনে আগামী ১০ জানুয়ারি রাজধানীতে আওয়ামী লীগের সমাবেশ সফল করতে এই আয়োজন করে যুবলীগ।
শেখ হাসিনা কীভাবে মের্কেলের চেয়ে এগিয়ে তার ব্যাখ্যা দেন হানিফ। তিনি বলেন, জার্মানিতে বেগম খালেদা জিয়ার মতো রাষ্ট্রবিরোধী নেত্রী নেই। সুশিক্ষায় শিক্ষিত জাতির বিশালায়ন রাষ্ট্রে কম জনগোষ্ঠী নিয়ে এঞ্জেলা মার্কেল এগিয়ে যাচ্ছেন। আর বাংলাদেশে বিশাল জনগোষ্ঠীর ছোট্ট দেশে পাকিস্তানি এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী দল, জঙ্গিবাদ, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিশ্বে উন্নয়নের নজির সৃষ্টি করেছেন শেখ হাসিনা। সুতরাং তার সঙ্গে কারও তুলনা চলে না।
বিএনপিকে হানিফ বলেন, বিএনপি বিগত নির্বাচন শুধু বর্জনই করেনি, সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষার সেই নির্বাচনকে প্রতিহত করতে বিএনপি মানুষ হত্যা করেছে, জ্বালাও-পোড়াও করেছে। এদেশের জনগণ আর সন্ত্রাস দেখতে চায় না। সন্ত্রাস পরিহার করুন তা না হলে আগামী নির্বাচনে এদেশের মানুষ আবারো আপনাদেরকে উচিত শিক্ষা দেবে।
৫ জানুয়ারি নির্বাচন না এলে অসাংবিধানিক শক্তি আসতো
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপি-জামায়াত জোটের বর্জনের মধ্যে আওয়ামী লীগ নির্বাচন না দিলে দেশে অসাংবিধানিক শক্তি ক্ষমতায় আসতো বলে দাবি করেন হানিফ। তিনি বলেন, ‘আমরা বার বার বলেছি ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার নির্বাচন। এই নির্বাচন না হলে এদেশে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হতো। সেই শূন্যতার সুযোগ নিয়ে অশুভ শক্তি ক্ষমতা দখলের সুযোগ পেতো।’
৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে না গিয়ে বিএনপির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে-দলটির নেতাদের এমন বক্তব্য উড়িয়ে দেন হানিফ। বলেন, ‘ওই জানুয়ারির নির্বাচনে ৪২ শতাংশ ভোট পরেছে। আপনারা নির্বাচনে আসেননি, জনগণকে ভোট দিতে আসতে বাধা দিয়েছেন। আপনাদের যারা ভোটার তারা ভোট দেয়নি। আপনারা নির্বচনে এলে আপনাদের ভোট দিয়ে ৭০ শতাংশ ভোট পড়তো। আপনারা আসেননি, আওয়ামী লীগের ভোট আওয়ামী লীগ পেয়েছে।
যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মইসমাঈল চৌধুরী সম্রাটের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুব লীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সহ সভাপতি আনোয়র ইকবাল সান্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধালণ রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।
Posted ০৮:৫৫ | শনিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain