
| শুক্রবার, ০৬ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
জঙ্গিনেতা মারজান ও তার সহযোগী সাদ্দাম বন্দুকযুদ্ধে নিহত হবার পর নব্য জেএমবির কার্যক্রম সংকুচিত হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
গুলশান হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা নুরুল ইসলাম মারজান বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির নিজ বাসায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে যে খুনগুলো হয়েছে তার সঙ্গে সাদ্দাম জড়িত ছিল। আর মারজান হলো সমস্ত পরিকল্পনাকারীদের একজন। সে এই সন্ত্রাসীদের নেতৃত্ব দিত। মারজান ধরা পড়েছে, কেউ আর বাদ যাবে না।’ মুসাসহ সংগঠনটির বাকি নেতাদের শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গিবিরোধী তৎপরতায় তারা আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। কোনো জঙ্গি রেহাই পাবে না, সবাইকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মারজান হলি আর্টিসান বেকারি হামলার অপারেশনাল কমান্ডার এবং সাদ্দাম নব্য জেএমবির উত্তরাঞ্চলের দায়িত্বে ছিলেন। মোটরসাইকেলে যাবার সময়ে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় পুলিশ চ্যালেঞ্জ করলে বন্দুকযুদ্ধ হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে রাজধানীর রায়েরবাজারে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সঙ্গীসহ মারজান নিহত হন। তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান, আজ ভোররাতে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সঙ্গে নব্য জেএমবির সদস্যদের বন্দুকযুদ্ধ হয়। সে সময় নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা নুরুল ইসলাম মারজান ও তার এক সহযোগী জঙ্গি নিহত হন।
প্রসঙ্গত গত কিছুদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, জঙ্গিনেতা মারজানসহ অন্যদের শিগগিরই পুলিশ পাকড়াও করতে পারবে। তার বক্তব্যের মাত্র কিছু দিনের মধ্যে নব্য জেএমবি নেতা মারজান ও তার এক সহযোগী জঙ্গি সদস্য সাদ্দাম হোসেন নিহত হলেন।
Posted ০৯:২১ | শুক্রবার, ০৬ জানুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain