| শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
ঢাকা, ২০ ডিসেম্বর : চলে গেলেন খ্যাতিমান অভিনেতা খালেদ খান (ইন্নালিল্লাহে… রাজিউন)। শুক্রবার রাত ৮ টা ২০ মিনিটে লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়া হয় জানিয়ে তার ছোট ভাই শাহিন খান গণমাধ্যমকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রায় ৫৬ বছর বয়সে মারা যান তিনি।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খালেদ খানের লাশ বারডেম হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হবে। শনিবার সকাল ৯ টায় ধানমন্ডিস্থ বাসভবনে এবং সাড়ে ৯ টার দিকে দীর্ঘদিনের কর্মস্থল (ইউএলএবি) নেয়া হবে তার লাশ। সেখানে কিছুক্ষণ রাখার পর বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে খালেদ খানের লাশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর পরই খালেদ খানকে টাঙ্গাইলের মির্জাগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে।
খ্যাতিমান এই শিল্পী দীর্ঘদিন ধরে মটোর নিউরন সমস্যায় ভুগছিলেন। এ সমস্যার কারণে তার শরীরের মাংসপেশী অকেজো হয়ে যায়। ফলে তিনি স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে-চলতে পারতেন না। বেশ কয়েক বছর ধরে হুইল চেয়ারে চলাফেরা করতেন।
খালেদ খান ১৯৫৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের মেধাবী ছাত্র ছিলেন তিনি। ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে (ইউএলএবি) তিনি ট্রেজারার হিসেবে চাকরি করছিলেন। প্রশাসনিক এই দায়িত্বের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের পড়িয়েছেন মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিষয়ে।
আশির দশকে মঞ্চ নাটক দিয়ে অভিনয় শুরু করেন খালেদ খান। জনপ্রিয়তা পান হুমায়ূন আহমেদের ধারবাহিক নাটক ‘এইসব দিনরাত্রি’ ও ইমদাদুল হক মিলনের ‘রূপনগর’ নাটকে অভিনয় করে। নাগরিক নাট্যসমপ্রদায়ের হয়ে মঞ্চে তিনি ৩০টির বেশি নাটকের সহস্রাধিক মঞ্চায়নে অভিনয় করেছেন।
তার নির্দেশনায় মঞ্চস্থ নাটক ১০টিরও বেশি। সর্বশেষ মঞ্চে নাগরিকের ‘রক্ত করবী’ নাটকে অভিনয় করেন তিনি। শেষ নির্দেশনা দেন সুবচনের ‘রূপবতী’ নাটকটির। শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রায় বছর তিনেক ধরে তিনি অভিনয় ও নির্দেশনা থেকে দূরে আছেন। তবে তিনি বিজ্ঞাপনে কণ্ঠ দেয়ার কাজ চালিয়ে গেছেন। স্বনামধন্য সংগীতশিল্পী মিতা হক তার স্ত্রী।
Posted ২১:৫১ | শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin